হাজীগঞ্জে নিন্ম মানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ হচ্ছে স্কুল ভবন!

সাইফুল ইসলাম সিপাত / গাজী মহিনউদ্দিন: চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সোনাইমুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ঠিকারদারি প্রতিষ্ঠানের নিন্ম মানের সামগ্রী ব্যবহারে তদারকি না থাকায় ক্ষুব্ধ এলাবাসী। অভিযোগ রয়েছে, হাতের সামান্য টানে খুলে যাচ্ছে কংক্রিটের ঢালাই।

কলাম এবং ড্রফ ওয়াল ঢালাইয়ে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় তার হাতের টানে খুলে যাচ্ছে।

ফরহাদ নামের স্থানীয় এক যুবক হাত দিয়ে টান দিলে কংক্রিটের ঢালাই খুলে যায়। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। কংক্রিটের ঢালাইয়ে পরিমান মত সিমেন্ট ব্যবহার না করার কথা জানিয়েছে এলাবাসী।

হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের উপ-সহকারি প্রকৌশলীর যোগসাজশে এমন নিন্মমানের কাজ করার অভিযোগ রয়েছে।

উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের সোনাইমুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ৫৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজ পায় স্বাধীন বাংলা কর্পোরেশন।

এ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মো. বিল্লাল হোসেন বেলাল।
এ প্রতিষ্ঠানটির কাজের মান নিয়ে বার বার অভিযোগ উঠে আসছে। হাজীগঞ্জ উপজেলায় যতগুলো কাজ করেছে সবগুলোতে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ করে স্থানীয়রা ও প্রতিষ্ঠান প্রধানরা।

সোনাইমুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজের তদাকরির দায়িত্বে রয়েছেন উপজেলা উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. মাঈনুল হোসেন। ঢালাইয়ের সময় তিনি উপস্থিত না থেকে ওয়ার্ক এসিস্ট্যান্টকে দিয়ে তদারকি করিয়ে আসছেন।

কাজের মান নিয়ে প্রতিবাদ করায় স্থানীয়দের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান থেকে আর্থিক সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখায় এক ওয়ার্ক এসিস্ট্যান্ড। এরপর তোপের মুখে পড়ে ড্রফ ওয়াল ভাঙ্গা ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. মাঈনুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়ে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সিমেন্ট কোম্পানি এবং কাজের মান যাচাইয়ে এক্সপার্ট নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা আহসান হাবিব বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের সুনাম ক্ষুন্ন করতে বিএনপি নেতার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করে। যা এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানিয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী রেজওয়ানুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পর্কিত খবর