চাঁদপুরে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে কর্মশালা

মোঃ মহসিন হোসাইন: ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ান, শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমান। এই প্রতিপাদ্য বিষয়ে, আজ ১২ ডিসেম্বর চাঁদপুরে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন এর মাধ্যমে ৬-১১ মাস বয়সী সকল শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লাখ আই,ইউ) এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লাখ আই, ইউ) খাওয়ানো হবে।

গতকাল ১১ডিসেম্বর সকাল ১০:০০ (দশ) টায় চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন কনফারেন্স রুমে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন এর প্রচার-প্রচরনা উপলক্ষে সিভিল সার্জন কতৃক আয়োজিত সাংবাদিকদের এক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি -এ এইচ এম আহসান উল্যাহ, সাধারণ সম্পাদক – আল ইমরান শোভন সহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দগন ও সিভিল সার্জন অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন এসময়।

এসময় সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ থেকে অপুষ্টি জনিত অন্ধত্ব নির্মূল এবং অপুষ্টি জনিত শিশুমৃত্যু প্রতিরোধ করার জন্য আজ ১২ ডিসেম্বর জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালন উপলক্ষ্যে চাঁদপুর জেলার মোট-২৩৩২ টি কেন্দ্রে , ০৮ (আট) টি উপজেলা ও ০২ (দুই) টি পৌরসভার ৬-১১ মাস বয়সী, মোট- ৩৮,৩৩৯ জন শিশু এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী মোট- ৩,১২,৯৪৯ জন শিশুসহ জেলায় ২৩৩২ টি কেন্দ্রে সর্বমোট ৩লাখ ৫১হাজার ২শত ৮৮ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

উক্ত কার্যক্রমটি আজ সকাল-৮.০০টা হতে বিকাল-৪.০০ টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো কাজে চলমান থাকবে। তবে, শিশুর বয়স ০৬(ছয়) মাস পূর্ণ হলে “মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণ মতো ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়াতে হবে”।

তিনি বলেন, ভিটামিন ‘এ’র অভাবে রাতকানা রোগ থেকে শুরু করে জেরোফথ্যালমিয়া, হাম, দীর্ঘমেয়াদি ডায়রিয়া সহ মারাত্মক হয়ে থাকে শিশুরা। তাই অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ‘এ’ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।

সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, যে সকল শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবেনা, তাদের মধ্যে ০৬(ছয়) মাসের কম বয়সী শিশু, ০৫(বছর) অধিক বয়সী শিশু, ০৪ মাসের মধ্যে ভিটামিন ‘এ’ক্যাপসুল প্রাপ্ত শিশু এবং অসুস্থ্য শিশুরা ভিটামিন ‘এ’ক্যাপসুল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ভ্রমনে থাকা শিশুরা যেন বাদ না যায়, তাই প্রতি উপজেলায় ১ টি করে, সিটি কর্পোরেশন/পৌর এলাকায় এবং অতিরিক্ত কেন্দ্র হিসেবে রেল স্টেশন, বাস স্ট্যান্ড, ফেরী ঘাট ও লঞ্চঘাট এলাকায় ক্যাম্পেইনের ব্যাবস্থা করা হয়েছে।

এসময় তিনি নিপা ভাইরাসের কথা উল্লেখ করে বলেন, সকলে আমরা খেজুরের রস খাওয়া থেকে বিরত ও সতর্ক থাকতে হবে । খেজুরের রস থেকে নিপা ভাইরাসের আক্রমন চড়াচ্ছে বলে তিনি সাংবাদিকদের অবহিত করেন। নিপা ভাইরাস থেকে বাঁচতে খেজুরের রস খাওয়া ও ধরা-ছোঁয়া থেকে বিরত থাকতে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেন।

সম্পর্কিত খবর