পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ যে কত ভারী পুত্রহারা একজন বাবাই বুঝে

স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য, সাবেক মন্ত্রী মায়া চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র, ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজর গভর্নিং বডির সাবেক সফল সভাপতি, মতলবের যুবসমাজের আইকন প্রয়াত সাজেদুল হোসেন চৌধুরীর স্মরণে তার আত্মার মাগফেরাত কামনায় খতমে কোরআন, মিলদা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ছেংগারচর পৌর পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও মরহুম দিপু চৌধুরীর পিতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম।

তিনি বলেন, পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ যে কত ভারী পুত্রহারা একজন পিতাই বুঝে। যে পিতা নিজ প্রাণপ্রিয় পুত্রের লাশ কাঁধে বহন করেছেন একমাত্র তিনিই জানেন এর ভার কতটুকু। কোলে পিঠে করে বড় করা কলিজার টুকরো সন্তান হারানো বিচ্ছেদের যন্ত্রণা যে কতটা তীব্র সেই জানে যে হারায়। মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি সে যেনো জান্নাতবাসী হয়।

তিনি আরো বলেন, আপনারা সবাই দিপুর জন্য দোয়া করবেন। মিলে মিশে থাকবেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশীভূত হয়ে কেউ জগরা বিবাদ করবেন না।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও চাঁদপুর -২ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেছেন, ০৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর সভা নেত্রী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দলীয় নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।সকল নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, তার ছেলে সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দীপু রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেক পরিশ্রম করেছে। মানুষের সাথে মিলে মিশে কাজ করেছে।সে ছিল অত্যান্ত জনপ্রিয়। দীপু চৌধুরী আমাকে ও হারমানিয়েছে। রাজনৈতিক অঙ্গনে আমিও তার কাছে হেরে গেলাম। দীপুর জন্য দোয়া চান, আল্লাহ তায়ালা রাব্বুল আলামিন যেন দিপু কে বেহেস্ত নসিব করেন।

ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র লায়ন আরিফ উল্লাহ সরকারের সভাপতিত্বে ও পৌর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ শাহজাহান মোল্লার সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন- মায়া চৌধুরীর ছোট ছেলে আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য রাশেদদুল হোসেন চৌধুরী রনি, প্রয়াত দিপু চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আশফাক চৌধুরী মাহি, ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন বেপারী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার ও আওয়ামীলীগ নেতা মিয়া মোঃ জাহাঙ্গীর, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান এসি মিজান, বিশিষ্ট শিল্পপতি আওয়ামীলীগ নেতা গাজী মুক্তার হোসেন, ছেংগারচর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আতাউর রহমান ঢালী, আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সাবেক সদস্য আহসান হাবিব হাসন,

উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শরীফ হোসেন, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির খান, সাজেদুল হোসেন চৌধুরীর ছোট ছেলে রাহি চৌধুরী,ছেংগারচর পৌরসভার ৬ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমান উল্লাহ সরকার, ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আঃ মান্নান বেপারী, ৪ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহজালাল মুফতি, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন,

৩ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম, ২ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারিছ খান, ১ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর সবুজ,সাবেক কমিশনার ও আওয়ামীলীগ নেতা খোকন প্রধান, পৌর যুবলীগের সভাপতি আমিনুল হক বেপারি, ছেংগারচর পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র আলহাজ্ব রুহুল আমিন মোল্লা, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক মিনহাজ উদ্দিন খান,সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক তামজিদ সরকার রিয়াদ,

সাদুল্যাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মিয়া,যুবলীগ নেতা কামরুল হাসান মামুন, পৌর আওয়ামীলীগ নেতা জাহাঙ্গীর ভুইয়া, আহসান হাবীব, উপজেলা শ্রমিকলীগ নেতা শামীম প্রধান, ছেংগারচর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মনির হোসেন, ছেংগারচর পৌর মৎস্যজীবিলীগের সভাপতি জনি সরকার,সহ-সভাপতি কবির হোসেন প্রধান, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর আলম ফকির,যুগ্ম-সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, ছেংগারচর পৌর যুবলীগ নেতা বাদল ঢালী,রেজাউল করিম ডেঙ্গু, নাজমুল খান,পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, উপজেলা শ্রমিকলীগ নেতা শামীম প্রধান, পৌল ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম অপু, উপজেলা ছাত্রলীগের ১ নাম্বার সদস্য সদরুল আমিন,উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের আহমেদ জনি, ছেংগারচর পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মামুন সিকদার, রিয়াদ, সহ উপজেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভা শেষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য, সাবেক মন্ত্রী মায়া চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র প্রয়াত সাজেদুল হোসেন চৌধুরীর স্মরণে তার আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলদা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন আদুরভিটি মধ্যপাড়া জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা মাওলনা মোঃ মিজানুর রহমান। আর মোনাজাত পরিচালনা করেন, ছেংগারচর বাজার কেন্দ্রীয় শাহী জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব আলহাজ্ব হযরত মাওলানা হাফেজ মোঃ তাজুল ইসলাম চাঁদপুরী।
উল্লেখ্য, সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দীপু গত ২ ডিসেম্বর ) শনিবার সন্ধ্যা ৫টা ১৭ মিনিটে রাজধানী ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে ২৮ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু পিতা, মাতা, স্ত্রী, ছোট ভাই, বোন, দুই ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেয়া দিপু চৌধুরী রাজনীতি ও দেশের মানুষের, বিশেষ করে চাঁদপুরের মতলবের মানুষের, প্রতিতি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। অত্যন্ত জনপ্রিয় এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান রাজনৈতিক অঙ্গন।

সাজেদুল হোসেন দিপু চৌধুরীর স্মরণে ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজের আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া ।

সম্পর্কিত খবর