চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের এক ঠিকাদারকে বারবার কাজ দেওয়ার অভিযোগ!

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর ২৫০ শয্যা সরকারি জেনারেল হাসপাতালের টেন্ডারে অনিয়ম করার অভিযোগ উঠেছে। একই ব্যক্তিকে বারবার কাজ দেওয়ার ঘটনায় ঠিকাদারদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে,অনিয়ম করে সর্বনিম্ন দরদাতা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কাজ না দিয়ে অনিয়ম করে পছন্দমত ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন সাধারণ ঠিকাদাররা।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের পথ্য(খাদ্য), লিলেন (ধোলাই) ও স্টেশনারি তিনটি গ্রুপের কাজে বেশ কয়েকজন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেন।

এরমধ্যে পথ্য(খাদ্য) সর্বনিম্ন দরদাতাকে না দিয়ে পছন্দমত ঠিকাদার কে কাজ দেওয়ার পাঁয়তারা করছে।
এছাড়া লিলেন (ধোলাই )ও স্টেশনারি সর্বনিম্ন দরদাতাকে না দিয়ে অর্থের বিনিময় ম্যানেজ হয়ে কতিপক্ষ একই ঠিকাদারকে বারবার কাজ দেওয়ার চেষ্টা করছে।

তিন গ্রুপের কাছে অংশগ্রহণ করা ঠিকাদাররা এ বিষয়ে সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্ববোধকের কাছে জানতে চাইলেও তাদেরকে কোন ধরনের তথ্য দেয়নি।

সর্বনিম্ন দরদাতা ঠিকাদারকে কি কারনে কাজ দেওয়া হবে না এই বিষয়ে জানতে চাইলে কোন জবাবদিহি করবে না বলে সাব জানিয়ে দেয়।

হাসপাতালে অংশগ্রহণ করা ঠিকাদার সিডু মিজি অভিযোগ করে বলেন, চাঁদপুরে সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্রতিবছরই টেন্ডারে বেশ দুর্নীতি হয়েছে।

উন্মুক্ত দরপত্র (ওটিএম) এর অর্থ সর্বনিম্ন দরদাতাই কাজ পাবে।

নিয়ম অনুযায়ী সর্বনিম্ন দর দাতাকে কাজ দেওয়ার কথা থাকলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিতভাবে পছন্দ মতো ঠিকাদারকে কাজ দিয়ে দিচ্ছে।

উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে হাসপাতালের তিন গ্রুপের কাজ দেওয়া হয়ে থাকে সেখানে সর্বনিম্ন দরদাতা কে তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও তারা সেটা করেনি। পছন্দমত ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার পাঁয়তারা করছে।

হাসপাতালের এই দুর্নীতি বন্ধে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন সাধারণ ঠিকাদারা।
তবে এই বিষয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যারা অংশগ্রহণ করেছে সেসকল ঠিকাদারদের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে কাজ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে মূল্যায়ন কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোন ঠিকাদার কাজ পাবে তা নির্ধারণ করা হয়।

তিন গ্রুপের কাজ কাকে দেওয়া হবে সবকিছু এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কোন ঠিকাদারের যদি অভিযোগ থাকে তাহলে সিপিটুতে অভিযোগ করতে পারে।

সম্পর্কিত খবর