চাঁদপুরে পাচারকালে ২০ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের একর পর এক মাদক বিরোধী অভিযান সফল হয়েছে ।

চাঁদপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের নির্দেশে মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শেখ মুহসীন আলমের তত্ত্বাবধানে মডেল থানা পুলিশ মাদক বিরোধী এই সফল অভিযান অব্যাহত রেখেছে ।

চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ,গতকাল ২ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় হরিনা চাঁদপুরের ফেরিঘাট এলাকায় প্রাইভেটকার বোঝাই করে মাদকের বড় চালান পাচারকালে পুলিশের জালে ধরা পরল রবিউল হাসান নামে এক মাদক ব্যবসায়ী।

চাঁদপুর মডেল থানার এএসআই শহীদুল্লাহ ও হেলাল সোর্সের মাধ্যমে তথ্য পেয়ে হরিনা ফেরিঘাট এলাকায় জাহিদ হোটেলের সামনে থেকে ঢাকা মেট্রো গ ২৮-৩০১২ নামে করোলা এক্সিও নামে একটি প্রাইভেটকার আটক করে।

এ সময় প্রাইভেটকারের পিছনের ডালা খুলে ভিতরে বস্তা বোঝাই ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।

পুলিশের হাতে আটক হওয়া মাদক ব্যবসায়ী রবিউল হাসান কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ১৭ নং ওয়ার্ড লালমাই এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে।

পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন যাবত এই মাদক ব্যবসায়ীরা প্রাইভেটকার বোঝাই করে চাঁদপুর ফেরিঘাট হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে মাদকের বড় বড় চালান পাচার করে। কুমিল্লা থেকে গাজার বড় চালান নিয়ে চাঁদপুরে আসার পথে সোর্সের তথ্য মতে হরিনা ফেরিঘাট আসার পর গাড়িটি ধরা হয়।

কিন্তু আটক ব্যক্তির সাথে আরেকজন মাদক ব্যবসায়ী ছিল সে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পূর্বেই গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যায়।

এই মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাট থেকে এর পূর্বেও মডেল থানার এএসআই শহীদুল্লাহ ও হেলাল ইয়াবা ও গাজার বড় বড় চালান আটক করতে সক্ষম হয়েছে।

মাদকবিরোধী অভিযানের ধারাবাহিকতায় তারাই সবচেয়ে মাদক উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
আটককৃত মাদক ব্যবসায়ীকে ধরার জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশ অভিযানের পূর্বে হরিনা ফেরিঘাট গিয়ে অবস্থান নেয়। তারা সেখান থেকে চলে আসার পর মাদক সহ গাড়িটি হরিনা ফেরিঘাট আসলে মডেল থানা পুলিশ তাদেরকে ধরতে সক্ষম হয়।

মাদক ব্যবসায়ীরা লাক্সারিয়াস গাড়ি ভাড়া করে এভাবে মাদকের বড় বড় চালান পাচার করে। চাঁদপুর থেকে মাদক নির্মূল করার জন্য পুলিশের অভিযান সর্বদা অব্যাহত থাকা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

সম্পর্কিত খবর