চান্দ্রা ইউনিয়নে প্রতিহিংসামূলক পথচারীদের নামাজের স্থান ভেঙ্গে দেওয়া অভিযোগ!

স্টাফ রিপোর্টারঃ চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রোড  ওয়াপদা বেড়িবাঁধের বুকে নির্মিত পথচারী ও স্থানীয় লোকদের নামাজ পড়ার স্থান স্থানীয় প্রভাবশালীদের নেতৃত্বে ভেঙ্গে দেওয়ার  অভিযোগ উঠে। এই নিয়ে এলাকায় ধমধমে ভাব বিরাজ করছে। যে কোন সময়  রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষও ঘটে যেতে পারে বলে ধারনা এলাকাবাসীর।

২২ নভেম্বর বুধবার বাদ আসর স্থানীয় প্রভাবশালীরা এই নামাজের স্থানটি ভেঙ্গে দেন বলে জানান স্থানীয় এলাকাবাসী।

এই বিষয়ে ঐই এলাকার সালাউদ্দিন বাবু বলেন ওয়াবদা রাস্তার বুকে নামাজের স্থানটি আমরা দুটি মসজিদের মোহতামিম ও ছাত্ররা মিলে ভেঙ্গে দিয়েছি। এই নামাজের স্থানের নিচে কিছু লোক মাদক সেবন করত ও কিছু চিশতিয়া তরিকতের লোক প্রতি বৃহস্পতিবার ওরোশ করত, আর কিছু উদ্ভট কথা বলত, যারা সংখ্যায় খুব কম। তাই আমরা এই অসামাজিক কাজ প্রতিহত করতে গিয়ে দুই কওমি মসজিদের মোহতারিম ও মুফতীদের সাথে আলোচনা করে নামাজের জায়গাটি ভেঙ্গে দেই। এই সময় সংখ্যায় ৯৫ ভাগ হুজুর ও ছাত্ররা উত্তেজিত অবস্থায় ২ জন চিশতিয়া অনুসারীদের মারধোরও করে।

এই বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী জানান যারা নামাজের স্থানটি ভেঙ্গেছে তারা সঠিক কাজ করেনি। নামাজের স্থানের পবিত্রা রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। কেউ যদি মাদক সেবন করেই থাকে তাহলে তাকে আইনে দেওয়া যেত, না হলে তাদেরকে মাদক সেবনে বাঁধা দেওয়া যেত। এলাকার স্থানীয় কিছু লোক জন তাদের অর্থায়নে এই নামাজের স্থানটি করেছে। আমরাও মাঝে মাঝে এখানে নামাজ আদায় করি। যারা এটা অসামাজিক কাজে ব্যবহার করত, তারা সংখ্যায় কম। নামাজের স্থানটি না ভেঙ্গে তাদেরকে বয়কট করা উচিত ছিল।

তাদেরকে সঠিক পথে ফেরানোর দায়িত্ব ছিল। যারা অসামাজিক কাজই করে তারা ভালো না হলে যে কোন স্থানে তারা অসামাজিক কাজই করবে। এই নামাজের স্থানটিরত কোন দোষ ছিল না? এলাকার কিছু দুষ্ট লোক তাদের প্রভাব দেখাতে গিয়ে হুজুরদের ব্যবহার করে  এই কাজটি করে এলাকায় বিভাজন সৃষ্টি করেছে।মশার সাথে জিদ করে মুশারী পোড়ানোর মত ঘটনা এটা। নামাজের স্থানটি ভাঙ্গা কোন যুক্তিতে আসে না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

স্বপন নামে এক বয়স্ক সি এন জি চালক বলেন আমি এই রাস্তা দিয়ে সি এনজি চালাই, নামাজের সময় হলে আমি এখানে মাঝে মধ্যে সালাত আদায় করতাম। যারাই এই নামাজের স্থানটি ভেঙ্গেছে তারা সঠিক কাজ করেনি।

চিশতিয়া তরিকত অনুসারী মোঃ আলী আহমেদ বলেন আমরা পবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনকে অবমাননা করি না। আল কোরআন হল আমাদের পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। ৩০ পারা পবিত্র কোরআনকে  কোন মুসলমান অস্বীকার করতে পারেনা।

কোরআনকে  অবমাননা নিয়ে যারা প্রবাকান্ড চরিয়ে মানুষকে বিভান্ত্র করতে যাচ্ছে , তাদেরকে আল্লাহ সহি বুজ দান করুক। তবে আমাদের কিছু কিতাব আছে যা কোরআনের আয়াত থেকে এসেছে, যা  পবিত্র গ্রন্থ কোরআন থেকে বড় নয়। নামাজের স্থানের সাথে আমাদের তরিকতের কাজের কোন সম্পর্ক নেই। নামাজের স্থানের পূর্ব দিকে আমরা একটা গ্যারেজ ভাড়া নিয়ে সেখানে মিলাদ ক্বেয়াম করি। আমরা কোন অসামাজিক কাজ করি না। যারা বলে আমরা অসামাজিক কাজ করি, তারা তার একটি প্রমাণ দেখ। মূলত আমাদের মিলাদ ক্বিয়াম টাই তাদের সমস্যা তাদের।

চিশতীয়া তরিকার আরেক অনুসারী মুনির বলেন সালাউদ্দিন বাবু’ যে কিনা গত চার মাস ধরে আমাদের পিছে লেগে আছে, আর বলে আমরা এই নামাজের জায়গায় গাঁজা খাই, আমরা এই নামাজের স্থানে কোন অসামাজিক কাজ বা মাদক সেবন করি না, আমাদের খানকা আলাদা। বরং সে নিজে মাদকাসক্ত, যা চান্দ্রার মানুষ সবাই জানে। তার ডোব টেস্ট করা হোক? আমরা এই ঘটনার নিন্দ্রা জানাই।

সম্পর্কিত খবর