চাঁদপুর জেলায় ভোটার সংখ্যা ২১ লাখ ৫৬ হাজার ৬০৯

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর জেলার ৮ উপজেলায় সংসদীয় আসন মোট ৫টি আসনের ভোটার সংখ্যা ২১ লাখ ৫৬ হাজার ৬০৯ জন।

চাঁদপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তোফায়েল হোসেন জানান, সর্বশেষ হালনাগাদ ভোটার তালিকা অনুযায়ি জেলার ৫ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২১ লাখ ৫৬ হাজার ৬০৯ জন।

এদের প্রায় অর্ধেকই মহিলা ভোটার। এদের সংখ্যা – ১০লাখ ৪৪ হাজার ৩২ জন । পুরুষ ভোটার ১১ লাখ ১২ হাজার ৫৭৭ জন। জেলায় হিজড়া ভোটার মাত্র ৬জন।

(চাঁদপুর-১ (কচুয়ায়) আসনে ১ জন, চাঁদপুর-২ (মতলব দক্ষিন ও মতলব উত্তরে) ২ জন, চাঁদপুর-৩ ( সদর-হাইমচরে) ২ জন , চাঁদপুর-৫( ফরিদগঞ্জে) আসনে- নেই এবং চাঁদপুর-৫ আসন ( হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) তে ১ জন।)

জেলায় সংসদীয় আসন: চাঁদপুর- ১ (কচুয়া ) তে ভোটার সংখ্যা ৩২৫৭৫৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৬৯৩৩১ জন, নারী ভোটার ১৫৬৪২৮ জন।

চাঁদপুর- ২ আসন (মতলব দক্ষিন ও মতলব উত্তর) এ মোট ভোটার সংখ্যা ৪৬৭২২৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৩৮৬৩৪ জন এবং নারী ভোটার হচ্ছে ২২৮৫৯৪ জন। এখানে মাত্র ২ জন হিজরা ভোটার রয়েছে ।

চাঁদপুর-৩ আসন (চাঁদপুর সদর-হাইমচর), এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ৫০৮৯৩২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২৬৩৮৯৩ জন । নারী ভোটার -২৪৫০৩৯ জন। এখানে হিজরা ভোটার রয়েছে মাত্র ২ জন।
চাঁদপুর -৪ আসন (ফরিদগঞ্জ ) , এখানে মোট ভোটার সংখ্যা -৩৬৯১২৯ জন । পুরুষ ভোটার হচ্ছে –১৯২৭৬৮ জন।নারী ভোটার হচ্ছে ১৭৬৩৬১ জন।

চাঁদপুর-৫ আসন (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি): এখানে মোট ভোটার সংখ্যা হচ্ছে -৪৮৫৫৬১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার হচ্ছে-২৪৭৯৫১ জন । নারী ভোটার -২৩৭৬১০ জন। এখানে মাত্র একজন হিজরা ভোটার রয়েছে ।
জেলার ৮ উপজেলায় ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৭শত ।

চাঁদপুর-১ আসন (কচুয়া) -১০৯ টি, চাঁদপুর-২ আসন (মতলব দক্ষিণ ও উত্তরে) ১৫৫ টি, চাঁদপুর-৩ আসন (চাঁদপুর সদর ও হাইমচরে)-১৬৫ টি , চাঁদপুর-৪ আসন (ফরিদগঞ্জে)-১১৮ ও চাঁদপুর-৫ আসন (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে) ১৫৩ টি ভোট কেন্দ্রে রয়েছে ।

উল্লেখ্য, এ জেলায় ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নবম, দশম ও একাদশ সংসদীয় নির্বাচনে সব আসনেই নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান সরকারী দলের এমপিগণ।

গত তিন টার্মে (১৫ বছরে) জেলায় ও উপজেলার আনাচে কানাছে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, স্বাস্থ, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা ও মাদ্রাসা খাতে, একাডেমিক ভবন নির্মাণ ও সড়ক উন্নয়ন, রাস্তা ঘাট ব্রীজ-কালভার্ট নির্মাণ, হাট বাজার উন্নয়ন, ডিজিট্যাল ব্যবস্থা চালু, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ও আওতায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।

সাধারনের জীবন মান উন্নয়ন হয়েছে। শিশু মাতৃ মৃত্যুর হারও কমেছে। এটি চট্টগ্রাম বিভাগে প্রশংসনীয়।

জেলার ৭ টি পৌরসভা রয়েছে। জেলার ৮৯টি ইউনিয়নের প্রতিটি ইউনিয়নে চালু করা হয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক, বাড়ির পাশেই বিনামুল্যে স্বাস্থ্য, চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাচ্ছে। সারাক্ষন (দিবারাত্র) বিনামুল্যে প্রসবকালীন সেবাও প্রদান করা হচ্ছে। এটি সরকারের স্বাস্থ্য খাতে বড় ধরণের অর্জন।

 

সম্পর্কিত খবর