
মোঃ হোসেন গাজী: চাঁদপুর নৌ অঞ্চল আধুনিক লঞ্চ টার্মিনাল নির্মান প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে ভূমি নির্ধারন জন মতামত নদীর গতি পথ, টার্মিনাল সড়ক তৈরি করার লক্ষে লক্ষীপুর মজুচৌধুরী হাট লঞ্চঘাট পরিদর্শন করেন চাঁদপুর নৌ অঞ্চল কতৃপক্ষ ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
১১ ডিসেম্বর দুপুরে লক্ষীপুর মজু চৌধুরি লঞ্চঘাটে চাঁদপুর নৌ অঞ্চল কতৃপক্ষ ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
জানা যায়, দীর্ঘ ৫০ বছরের ও বেশি সময় ধরে লক্ষীপুর মজু চৌধুরি লঞ্চ ঘাট হয়ে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটে প্রতিদিন ১২০০-১৫০০ যাত্রী পারাপারে নৌপথ চালু হয়। এতে চট্টগ্রাম বিভাগের সাথে ভোলা বরিশাল অঞ্চলের দূরত্ব কম হওয়ায় এই নৌপথ টি অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই ছোট ছোট লঞ্চ, স্টিমার চালু থাকলে-ও আধুনিক লঞ্চ টার্মিনাল না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন শত শত যাত্রী।
স্থানীয় সাইফুল, মিজান, সফিউল সহ অরো অনেক বলেন, এই নৌপথে প্রতিদিনই শতশত মানুষ যাতায়াত করে, আধুনিক লঞ্চ টার্মিনাল না থাকায় যাত্রীরা অনেকটা নিরাপত্তা হীনতায় ভোগেন। বিশেষ করে মা বোনেরা ঘাটে এসে লঞ্চের অপেক্ষা বসার কোন জন্য কোন নির্ধারিত স্থান নেই, জরুরি প্রয়োজনে টয়লেট, প্রসাব করার ব্যবস্থা না থাকায় অনেক বেশি ভোগান্তিতে পড়েন। তাই অতি জরুরি আধুনিক লঞ্চ টার্মিনাল নির্মাণ করা হলে জন ভোগান্তি কমে যাবে।
নৌ-সংরক্ষণ ও পরিচালনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক শ. আ. মাহফুজ উল আলম মোল্লা বলেন, মজু চৌধুরি হাট লঞ্চ ঘাট সহ চাঁদপুর নৌ অঞ্চলে এই প্রকল্পের আওতায় ৩ টি লঞ্চ টার্মিনাল নির্মান করা হবে, এসব টার্মিনালে যাত্রীদের সুবিধার জন্য থাকছে যাত্রী ছাউনীসহ প্লাটুন, গ্যাংওয়ে, নতুন রাস্তা, ওয়েটিং সেড ও পার্কিং ইয়ার্ডের ব্যবস্থা। প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যায় ধরা হয়েছে ৩ টি লঞ্চ টার্মিনালে।
ধারনা করছি মজু চৌধুরি হাট লঞ্চ হতে বৎসরে ১ থেকে ১.৫০ কোটি রাজস্ব আদায় হবে। তিনি আরও বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। সাথে উপস্থিত রয়েছেন কমিটির সদস্য ও উপ-পরিচালক বশির আলী খান, নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম।