ফরিদগঞ্জে একাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে আপন ভাইকে হয়রানির অভিযোগ

বিশেষ প্রতিনিধি : চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে একটি পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন সহোদর ভাই ও ভাতিজারা এমন অভিযোগ উঠেছে।

গত কয়েক বছরে ওই পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেছেন তারা। শুধু তাই নয় ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে আবাদি জমি, বসতভিটে দখলের চেষ্টার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নিজেই।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার রাজাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। হয়রানির শিকার নুরুল ইসলাম গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এসব অভিযোগ করেন এবং দ্রুত জায়গা ছেড়ে না দিলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেন প্রতিপক্ষের লোকজন। এছাড়াও প্রায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলেও তিনি জানান।

নুরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে ৩৯ শতাংশ জমি নিয়ে শফিকুর রহমান ও তাজুল ইসলাম গংদের সাথে তার সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল।

২০১০ সালে ভাই ও বড় বোন, ভগ্নিপতিসহ পারিবারিক বৈঠক করে মৌখিক এওয়াজে সহদর ভাইদের সম্মতিতে মুলপাড়া বসতবাড়িতে তাদের সমপরিমান জায়গা দিয়ে বাড়ির দক্ষিণ পাশে এসে ফরিদগঞ্জ এলাকাধীন ৬৮ নং উত্তর রাজাপুর মৌজার সি,এস ২১ নং খতিয়ান, বি,এস ৪৫ নং খতিয়ানভুক্ত সি,এস ৮৯,ও বি,এস ১৮৪ দাগে মোট ৩৯ শতাংশ ভুমির কতেক সম্পত্তিতে বসতবাড়ি নির্মাণ ও কতেক সম্পত্তিতে চাষাবাদ করে আসছেন।

তিনি আরো জানান, বসতবাড়ি নির্মাণের বেশ কিছুদিন পর আমার ভাই ও ভাতিজারা আমার এখানে জায়গা পাবে বলে, আমার নামে জি আর ৯৭/২০২০ সালে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময় আমার পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেন। এসব মামলায় স্ত্রী, ছেলেকেও আসামি করা হয়।এবং সেই মামলায় গ্রেফতার হয়ে হাজতবাস করতে হয় আমাদের। নুরুল ইসলামের দাবি, তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো মিথ্যা ও সাজানো।

তিনি বলেন, বিরোধীয় জায়গা নিয়ে ২০১৭ সালে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৪৫ ধারায় আইনের মিস ২০৫/১৭. বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে মামলা দায়ের করেন। নালিশী ভূমি আমার ভোগ দখলে থাকায় ইতোমধ্যে বিজ্ঞ আদালত ৩/১২/২৪ ইং তারিখে আমার পক্ষেই মামলার রায় প্রধান করেন।

উক্ত মামলায় তাদের পক্ষে রায় না হওয়ায় আবারও একই নালিশের ভূমিতে ছোট ভাই তাজুল ইসলামকে বাদী করে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পুনরায় ১৫৩৮/২৪. একটি মামলা দায়ের করেন।

অভিযুক্ত শফিকুর রহমান গংরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেন। বলেন, নালিশ ভূমি আমাদের ফলে বাধ্য হয়ে তারা আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।

সম্পর্কিত খবর