
বিশেষ প্রতিনিধি : শীতকালীন রবি শস্য চাঁদপুরের বিস্তীর্ণ মাঠ এখন সবুজের মাঝে হলুদ ফুল। হেমন্তে কালে আমন ধান ঘরে তোলার পরপরই চাঁদপুরের কৃষকের ব্যস্ততা এখন রবি মৌসুমের সরিষা চাষবাদ নিয়ে। এঅঞ্চলের কৃষকেরা এবার সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করে বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাঁদপুর অফিস সুত্রে জানা যায়, এ জেলার ৮ উপজেলায় রবি মৌসুমে সরিষার উফশী ও স্থানীয় জাতের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৯৫০ হেক্টর জমি। যার মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা চাঁদপুর সদরে ৪৬০ হেক্টর, মতলব উত্তরে ১৫০০ হেক্টর , মতলব দক্ষিনে ২৯৫ হেক্টর, হাজীগঞ্জে ৬৫০ হেক্টর, শাহরাস্তিতে ২৮৫ হেক্টর, ফরিদগঞ্জে ১৬০ হেক্টর ও হাইমচরে ২১৫ হেক্টর জমি।
জানা যায় , চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে রবি মৌসুমের শীতকালীন আবাদে ৮ উপজেলার সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৩৯৫০ হেক্টর জমি। ইতোমধ্যে আবাদের অগ্রগতি হয়েছে ৩৬২৭ হেক্টর জমিতে। উফশী জাতের করা হয়েছে ৩৬০২ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের করা হয়েছে ২৫ হেক্টর জমি। আশা করা যাচ্ছে আবহাওয়াসহ সার্বিক দিক অনুকূলে থাকলে এই অঞ্চলের কৃষকেরা তাদের কাংক্ষিত ফসল ঘরে তুলতে সক্ষম হবে।
গতকাল তথ্যনুসারে সরিষার আবাদের অগ্রগতি হয়েছে ৩৬২৭ হেক্টর জমিতে। আশা করা হচ্ছে আবহাওয়াসহ সার্বিক দিক অনুকূলে থাকলে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পুরোপুরি পূরণে সক্ষম হবে এ জেলার কৃষকেরা।
জানা গেছে, প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকেরা এখন চরম ব্যস্ত সময় পার করছেন সেচ, সার ও কীটনাশক প্রয়োগসহ পরিচর্যা নিয়ে। ওই সকল এলাকার প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ইতোমধ্যেই তারা তাদের জমিতে সরিষা রোপণ শেষে এখন সেচ ব্যবস্থা, কীটনাশাক প্রয়োগসহ পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
মতলব উপজেলার ফরাজী কান্দির কৃষক বেলাল জানান, আমরা কয়েকজন মিলে জমিতে সরিষা-১৪ আবাদ করেছি। বর্তমানে সরিষা ক্ষেতে ফুল ও ফল আসা শুরু করেছে। জাব পোকার আক্রমন হতে ফসলকে রক্ষা করতে কীটনাশক প্রয়োগ করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে ৬ মণ করে সরিষা উৎপাদন সম্ভব হবে বলে আশা করি।
চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোবারক হোসেন জানান, সরিষা মাঠে এখন ফুল ও ফলের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। কৃষকেরা সরিষার ক্ষেতে সেচ প্রদান, সার প্রয়োগ, জাব পোকারোধে কীটনাশক প্রয়োগসহ পরিচচর্যার কাজে ব্যস্ত রয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকেরা তাদের কাংক্ষিত ফসল ঘরে তুলতে সক্ষম হবে। বপণ শেষে এখন মাঠে সরিষার ফুল ও ফলের উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। কৃষকেরা এখন সরিষা আবাদকে ঘিরে ক্ষেতে সেচ প্রদান, সার প্রয়োগ, জাব পোকা দমন রোধকল্পে কীটনাশক প্রয়োগসহ পরিচর্যা কাজে ব্যস্ত রয়েছে।
অন্য বছরের তুলনায় এবার বৃষ্টিপাত বেশি থাকা এবং জলাবদ্ধতাসহ আবহাওয়া প্রতিকুলে থাকার দরুন সরিষা বপণে ব্যাঘাত ঘটেছে, তারপর আবাদ সন্তোষজনক। জেলার সরিষা আবাদ ঘিরে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।