চাঁদপুর হকার্স মার্কেটের সামনে রোজা কেন্দ্রিক শৃঙ্খলা এড়াতে নানান পদক্ষেপ

মহসিন হোসাইন : চাঁদপুর হকার্স মার্কেটের সামনে রোজা ও ঈদুল ফিতর কেন্দ্র করে শৃঙ্খলা এড়াতে এবং কাস্টমারদের সুবিধার্থে নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

এ কারণে মূলত হকাস মাকেটে বিশৃংখলা সৃষ্টি হয়েছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে । জানা গেছে,৫ আগস্ট পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর চাঁদপুর হকার্স মার্কেটের নতুন কমিটি গঠনের তোড়জোর শুরু হয়েছে । বহিরাগত দুএকজন ব্যবসায়ী নেতা হতে তৎপর হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।

জানা গেছে, মূলতঃ ঈদুল ফিতর’কে সবাই একটু বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তারমধ্যে ব্যবসায়ীদের জন্য এই সময়টাই ব্যবসার সিজন বলে ধরা হয়। কেনাকাটা থেকে শুরু করে সবকিছুতেই রমজানের ঈদ ঘিরে থাকে মানুষের নানান আয়োজন।

আর সবকিছুর মূলে থাকে কেনাকাটা। পোশাক আশাক ভালো ও মন মতো হলেই ঈদ আনন্দ যেন দশ গুণ বেড়ে যায়। আর যদি তার পাশাপাশি কেনাকাটা করতে গিয়ে মার্কেট থাকে গোছালো এবং পরিবেশ বান্ধব, তাহলে তো আর কথাই নেই।

সেই লক্ষে চাঁদপুর হকার্স মার্কেট সমাজকল্যাণ সমিতির উদ্যোগে সামনে রোজার ঈদকে কেন্দ্র করে কাস্টমারের কেনাকাটায় শৃংখলা এড়াতে নেওয়া হয়েছে নানান পদক্ষেপ। যারমধ্যে রয়েছে হকার্স মার্কেটের সামনে থেকে শুরু করে আশেপাশে এবং গলির ভিতরের দোকানগুলোতে গলি ছেড়ে পোষাক ঝুলিয়ে রাখা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে কয়েকবার।

এছাড়াও হকার্স মার্কেটের ভিতরে অসংখ্য পকেট দোকানীও রয়েছে, যারা কিনা রাস্তা বন্ধ করে বেচাকেনায় ব্যাস্ত থাকেন সবসময়। তাই এবারের ঈদকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে বাড়তি শৃঙ্খলা।

যেখানে কোনো দোকানীর কোনো মালামাল হাঁটাচলা করার সময় বাইরে যেন ক্রেতাদের শরীরে না লাগে এবং রাস্তা বন্ধ করে কোনো পোষাক ঝুলিয়ে রাখা যাবেনা বলে দুই দুইবার চিঠি দেওয়া হয়েছে দোকানিদেরকে। এছাড়াও মুখেও কয়েকবার বলা হয়েছে।
পরবর্তীতে চাঁদপুর হকার্স মার্কেটের দোকানীরা এই বিষয়টি কোনোভাবেই কর্ণপাত করেননি। যার কারণে গত সপ্তাহে হকার্স মার্কেটের সমিতি কর্তৃক দায়িত্বরত শাহআলমসহ আরো দুই তিনজন মিলে অধশত দোকানের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

এরপর তারা বাধ্য হয় তাদের পকেট দোকানগুলো সরিয়ে নিতে এবং অন্যান্য দোকানগুলোও রাস্তায় হাঁটাচলায় যেন বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য কেউ পোষাক ঝুলিয়ে রাখেন না। অনেক দোকানিরাই হকার্স সমিতির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।

এক্ষেত্রে যেমন একদিকে দোকানিদের মালামাল বিক্রিতে সুবিধা ও কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি হবেনা অপর দিকে সাধারণ ক্রেতারাও মার্কেটে এসে সুস্থ্য সুন্দর পরিবেশ পেয়ে যেমনটা হাঁটাচলায় বিঘ্ন ঘটবে না, তেমনি ক্রয়কালে ভালোভাবে দেখেশুনে পোশাক আশাক ক্রয় করতে পারবেন বলে জানা যায়।

একদিকে চাঁদপুর হকার্স সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ঈদুল ফিতরের পর পর তারা নির্বাচন দিয়ে স্থায়ী কমিটি ঘোষনা করবেন বলেও জানা গেছে। তবে এই মূহুর্তে হকার্স মার্কেট মালিক সমিতির লোকজন তাদের ব্যাবসাকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে যাচ্ছেন ঈদুল ফিতর কে ঘিরে। তাই বর্তমানে হকার্স মার্কেটের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

সম্পর্কিত খবর