
স্টাফ রিপোর্টার: চাঁদপুর শহরের চৌধুরীপাড়া এলাকায় মুন্নি বেগম গংগের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ভূমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে সরজমিনে গিয়ে ভূমির মালিক মৃত, কামরুজ্জামানের স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের কাছে দখলের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন দখল কারীদের বিরুদ্ধে চাঁদপুর জেলা জজ আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে যার নাম্বার ০৮/২০২৫।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ভুমি দখলকারী হিসেবে তিনজনের নাম উল্লেখ করে একটি দরখাস্ত দেওয়া হয়েছে।
এদের মধ্যে হল মুন্নি বেগম (২৭), স্বামী- বিল্লাল হোসেন,নাজমুল হোসেন (২৪), পিতা- অজ্ঞাত (মুন্নী বেগমের ভাই),আঃ আজিজ (৩৫), পিতা-অজ্ঞাত। অভিযোগে বলা হয়েছে , অভিযুক্তরা ভীষণ দুষ্ট, দূর্দান্ত, অত্যাচারী, পরধন লোভী লোক। গায়ের জোরে তাহারা আইন কানুনকে বিন্দুমাত্র তোয়াক্কা করে না।
মনোয়ারা বেগম এর পিতার ওয়ারিশ সূত্রে এবং বিগত ১২/১১/২০২১ইং তারিখে চাঁদপুর সদর রেজিষ্ট্রি অফিসের ৮১৭৭নং আপোষ বন্টকনামা দলিল মূলে ০৩২০ একর ভূমির মালিক থাকিয়া পূর্বে পিতার নামে বি.এস ৫৪৬নং খতিয়ান মনোয়ারা বেগম এর পিতার নামে পরবর্তীতে তার নামে খারিজী ১১৩৭২নং খতিয়ান সৃজন করে তাকে দালান নির্মাণ করে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছে।
প্রতিপক্ষগণ আবেদন কারীর মালিকীয় দখলীয় ভূমির প্রতি লোভাকৃষ্ট হয়ে তাকে নালিশী ভূমি হইতে উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বিগত ১৮/১২/২০২৪ইং, রোজ- বুধবার, সময় অনুমান ৯:০০ টার সময় কিছু লেবার নিয়ে মালিকীয় দালান ভাংঙ্গতে গেলে আবেদন কারী অভিযুক্তদের বাধা প্রদান করে।
পরবর্তীতে বিগত ০১/০১/২০২৫ইং তারিখ সকাল অনুমান ১০:০০ টায় অভিযুক্তরা সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে বর্ণিত সম্পত্তির উপর নির্মিত দালান ভাঙ্গার জন্য উদ্যোগ নিলে মনোয়ারা বেগম স্থানীয় লোকজনদের সাথে নিয়ে বাধা দিলে অভিযুক্তরা চলে যায়। এবং কান্না সের হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। বর্তমানে অভিযুক্তরা এতই উত্তেজিত’ ও ক্ষিপ্ত যে, যেকোন সময় যেকোন মুহুর্তে অভিযুক্তরা, মনোয়ারা বেগমের মালিকীয় দখলে থাকা দালান জোরপূর্বক ‘ভাঙ্গিয়া তাকে উচ্ছেদ করে দিবে বলে হুমকি দিয়ে আসছে। উপরোক্ত অবস্থা ও কারনাধীনে অভিযুক্ত মুন্নি বেগম গং রা যেনো তপছিল বর্নিত সম্পত্তিতে থাকা নির্মিত দালান ভাঙ্গে বেদখল করতে না পারে কিংবা নালিশী সম্পত্তির কোন রুপান্তর পরিবর্তন বা নতুন করে পাকা স্থাপনা নির্মাণ সহ অন্যত্র হস্তান্তর করতে না পারে।
সে জন্য আইনের ১৪৫ ধারার বিধান মতে আদালত এক অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যার স্মারক নাম্বার-১৩।
নিষেধাজ্ঞার বিষয় চাঁদপুর সদর ভূমি কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কে পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে ।
নিষেধাজ্ঞা হাতে পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বাহার উদ্দিন এর নির্দেশে এসআই হাওলাত হোসেন সঙ্গীয় খোঁজ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তদের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।