চাঁদপুর পৌরসভার অনুমোদন ছাড়া প্ল্যান পাস করে দিচ্ছেন প্রকৌশলী সাজ্জাদ!

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর পৌরসভার শহর পরিকল্পনাবিদ ও প্রকৌশলী মো: সাজ্জাদ ইসলাম এর নকশা করা ডেভেলপার ও চাঁদপুর পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডে চলছে অনুমোদন ছাড়া বহুতল ভবন নির্মান কাজ।

তিনি দীর্ঘ ১৫/২০ বছর যাবত গোপনে অসংখ্য অনুমোদনবিহীন ভবন নির্মাণে সহায়তা তবিয়তে রয়েছে। চাঁদপুর পৌরসভার অঘোষিত ফ্যাসিস্ট টাউন প্লাজার প্রকৌশলী সাজ্জাদ ইসলাম অনেক ক্ষমতাধর ব্যক্তি। উপর মহলের হাত রয়েছে তার।

একাধিক বিশ্বস্ত ও গোপন সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর পৌরসভার নকশা অনুমোদন না করে বহুতল ভবনের অনুমোদন দেন চাঁদপুর পৌরসভার শহর পরিকল্পনাকারী প্রকৌশলী মো: সাজ্জাদ ইসলাম। বাড়ির মালিকরা তার কাছে নকশা করতে গেলে তিনি বিল্ডিংয়ের প্ল্যান পাস, নকশার টাকা সহ বিভিন্ন খরচাদি একসাথেই প্যাকেজ নামে মালিকপক্ষ থেকে ২-৫ লাখ টাকা অগ্রিম হিসেবে হাতিয়ে নেন বলে শোনা যায় এবং জানা যায়।

তিনি পৌরসভার প্ল্যান পাসের টাকা পৌরসভায় জমা না দিয়ে নিজের কাছেই রেখে দেন বলে নিজের একাউন্টে জমা করেন বলে একাধিক সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বাড়ির মালিকদেরকে তিনি একটা খসড়া প্ল্যান তৈরি করে ভবন নির্মাণ করার অনুমতি দেন। প্রকৌশলী মো: সাজ্জাত ইসলাম অর্ধকোটি টাকার নিজ গাড়িতে চলাফেরা করে। তার নারায়নগঞ্জে রয়েছে আলিশান বহুতল বাড়ি, ঢাকায় রয়েছে কয়েকটি ফ্ল্যাট বাড়ি তার পরিবারের নামে। কোটি কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক ব্যালেন্স। এই টাকার উৎস্য কোথায়। চাঁদপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল পৌরসভার রাস্তা বাড়ানোর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রমে বাসা-বাড়ি, দোকানপাট, স্কুল কলেজের দেয়াল ভেঙ্গে দিয়ে রাস্তা প্রশস্ত করেন।

তিনি চাঁদপুর পৌরসভার প্রকৌশলী মো: জাহিদকে তৎকালীন নির্দেশ দিয়েছিলেন, বহুতল ভবন রাস্তার পাশে নকশা হলে ৫ ফুট ছেড়ে বাড়ির মালিকরা বাড়ি করতে হবে। এই নির্দেশ না মানলে বহুতল ভবন করতে পারবে না। নিউ ট্রাক রোডে, পৌর মেয়র তৎকালীন পৌরসভার জায়গায় শত শত বাড়ি ঘর দোকান-পাট গড়ে উঠায় ভেঙ্গে দিয়েছে।

চাঁদপুর পৌরসভার রাস্তাঘাট সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেন। কিন্তু সাবেক মেয়রের নির্দেশ শহর পরিকল্পনাবিদ ও প্রকৌশলী সাজ্জাত মানছে না। এ ব্যাপারে চাঁদপুর পৌর প্রশাসক ও উপসচিব মো: গোলাম জাকারিয়া দৃষ্টি কামনা করেছেন চাঁদপুরবাসী।

সম্পর্কিত খবর