
স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর শহরে দিন-দুপুরে ও রাতের আঁধারে গ্রিল কেটে এবং তালা ভেঙ্গে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটছে।
কোন অবস্থাতেই যেন এর লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। পুলিশ প্রশাসন তৎপর থাকার পরেও চোর চক্ররা চুরি ছিনতাই ও ডাকাতিরমত অপরাধ কর্মকান্ড ঘটাচ্ছে।
তেমনি চাঁদপুর লেডি দেহলবী স্কুলের পিছনে ফ্ল্যাট বাসায় দিন-দুপুরে তালা ভেঙ্গে স্বর্ণালংকার টাকা-পয়সা ও ৪৮ ইঞ্চি এলইডি টিভি চুরি করে নিয়ে যায়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে চোরকে শনাক্তের পর অবশেষে মডেল থানার ওসি বাহার মিয়ার নেতৃত্বে এস আই আওলাদ হোসেন সঙ্গীও ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে আন্ত:জেলা চোরচক্রের হোতা নাসির গাজীকে আটক করে।
পরে পুলিশ চোরকে সাথে নিয়ে ৭ নং ওয়ার্ড জামতলা কয়লা বাগান এলাকায় চোরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে চোরাই স্বর্ণ মালামাল ও তালা কাঁটার সরঞ্জাম ড্রিল মেশিন উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ চুরির সাথে সম্পৃক্ত আসামি নাসির গাজীর মা নাজমা বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। গত ২৬ তারিখ ডিসেম্বর লেডি দেহলবী স্কুলের পিছনে ভাড়াটিয়া ওয়াসিম বেপারীর স্ত্রী তানজিলা বেগম বাবার বাড়িতে বেড়াতে গেলে সেই সুযোগে দুপুরে চোর নাসির গাজী বাসার তালা কেটে স্বর্ণ, নগদ টাকা ও টিভি নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ সময় সিসি ক্যামেরার ফুটেজে তার চুরির ঘটনার পর মালামাল নিয়ে যাওয়ার দৃশ্যটি ধরা পড়ে। পুলিশের হাতে আটক হওয়া চোর নাসির গাজী ৭ নং ওয়ার্ড জামতলা কয়লা বাগানর বাসিন্দা বিল্লাল গাজীর ছেলে। স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, আন্ত:জেলা চোর চক্রের হোতা নাসির গাজী তার নাম পরিচয় গোপন রেখে বিভিন্ন জায়গায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটায়। এর পূর্বে বেশ কয়েকবার তাকে পুলিশ আটক করলেও সে বেরিয়ে এসে পুনরূপ পুরনো কাজে নেমে পড়ে।
চোরের মা নাজমা বেগম ভিক্ষা করার নাম করে বিভিন্ন বাসায় গিয়ে যেখানে তালা মারা দেখতে পায় সেই সন্ধান তার ছেলেকে জানায়। পরে ছেলে নাসির গাজী দিনে দুপুরে তালা কেটে চুরি করে পালিয়ে যায়। এই চোরের সাথে আরো অনেক চোর জড়িত রয়েছে তা অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসবে।
চাঁদপুর মডেল থানার ওসি বাহার মিয়া জানায়, ফ্ল্যাট বাসায় চুরির ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজে চোর শনাক্তের পর অবশেষে নাসির গাজীকে আটক করা হয়েছে। তার বাসা তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ চোরাইকৃত মালামাল ও তালা কাটার মেশিন যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা সম্ভব হবে। এই ঘটনায় ওয়াসিম বেপারী বাদী হয়ে থানায় চুরি মামলা দায়ের করেছে।