সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী : চাঁদপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্তম্বে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তর একই স্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।
দুপুরে শহরের পুরাণ বাজার ডিগ্রি কলেজে দিবস উপলক্ষ্যে বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, পাক হানাদার বাহিনী জানত তারা এই দেশে বেশীদিন থাকতে পারবে না। তাদের মনের আক্রোশ, হিংসা, বিদ্বেষ মিঠাতে দেশের বরেণ্য ব্যক্তিদের মেরে ফেলেছিলো। আমরা যেন মাথা উঁচু করে না দাঁড়াতে পারি, দেশটা যেন উঁচু হয়ে না দাঁড়াতে পারে। তার জন্যেই এই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তখন পরামর্শই দিতেন বুদ্ধিজীবীরা। তারাই মুক্তিযোদ্ধার মাস্টারমাইন্ড ছিলো। আমরা এখনো মুক্তিযোদ্ধা বা বুদ্ধিজীবীদের সেই সম্মান দিতে পারছি না। সম্মান বলতে তাদের সম্পত্তি বা টাকা দেয়া নয়। সম্মান বলতে তাদেরকে শ্রদ্ধা করা। দেশের প্রকৃত ইতিহাসকে লালন করা এবং তা পালন করতে হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তখন পরামর্শই দিতেন বুদ্ধিজীবীরা। তারাই মুক্তিযোদ্ধার মাস্টারমাইন্ড ছিলো। আমরা এখনো মুক্তিযোদ্ধা বা বুদ্ধিজীবীদের সেই সম্মান দিতে পারছি না। সম্মান বলতে তাদের সম্পত্তি বা টাকা দেয়া নয়। সম্মান বলতে তাদেরকে শ্রদ্ধা করা। দেশের প্রকৃত ইতিহাসকে লালন করা এবং তা পালন করতে হবে।
এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা সানা উল্লাহ খান, সরদার আবুল বাশার, ডা. কাজী হাসেম, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী প্রমূখ।