শাহতলীতে ইব্রাহিম চৌধুরী মুক্তিযোদ্ধা হয়েও আজও পাননি স্বীকৃতি

চাঁদপুর খবর রির্পোট: চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের শাহতলী গ্রামের চৌধুরী বাড়ি নির্বাসী ৭১এর রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইব্রাহিম চৌধুরীর মানবেতর জীবনযাপন করছে। অথসংকটে চিকিৎসাও নিতে পারছে না,বাড়ীতে এখন শয্যাশয়ী । তিনি মুক্তিযোদ্ধা হয়েও পাননি স্বীকৃতি এবং মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাননি ।

বর্তমানে মহান মুক্তিযুদ্ধের অকুতোভয় গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইব্রাহিম চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছেন।

এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয় ,চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলার নিবাহী অফিসার এর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ।

তিনি চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের বড় শাহতলীর মরহুম আমিনুল হক চৌধুরীর মেজো ছেলে ও ডিবি’র কর্মকর্তা মো: সাইফুল কবির চৌধুরী’র বড় ভাই।

৭১এর রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইব্রাহিম চৌধুরীর ছোট ভাই ডিবি কর্মকর্তা মো: সাইফুল কবির চৌধুরী ও জহির চৌধুরী দৈনিক চাঁদপুর খবর কে জানান, ইব্রাহিম চৌধুরী এ বছরের শুরুতে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে শরীরের একাংশ প্যারালাইসিস হয়ে গেছে। বর্তমানে তিনি কথা বলতে পারেন না।

তিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কিছু সময়ের জন্য কলকাতাস্থ মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। দেশরক্ষা বিভাগ স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদপত্রও পেয়েছেন তিনি ।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর সদর উপজেলার সাবেক কমান্ডার আবুল কালাম চিশতী গতকাল মোবাইলে দৈনিক চাঁদপুর খবরকে জানান, শাহতলীস্থ মোঃ ইব্রাহিম চৌধুরী মুক্তিযোদ্ধা বিষয়টি মন্ত্রনালয় যোগাযোগ করতে পারেন । এ বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে চাই না ।

তার উল্লেখযোগ্য গেরিলা অপারেশনের মধ্যে মধুরোড বড় পোলের পাকিস্তান আর্মি ক্যাম্পে একাই ঢুকে পড়ে কমান্ডিং অফিসারের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দিয়ে তাদের গুলি বৃষ্টির মধ্যে জিবন নিয়ে ফিরে আসা অন্যতম, যে ঘটনাটি এলাকার সকলের কমবেশি জানা আছে।

তার ঐ সকল বীরত্বের উপহার স্বরূপ সরকারের মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সার্টিফিকেট পেয়েছেন। কিন্তু দূভাগ্যজনক বিষয় হলো বিগত বছরগুলোতে তিনি কোন প্রকার স্বীকৃতি ও ভাতা পান নি। এমনকি সর্বশেষ মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া অংশগ্রহণ করলেও শুধুমাত্র অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার নাম লিপিবদ্ধ হয়নি।

এমতাবস্থায় তার বয়স এবং শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় উন্নত মানের চিকিৎসা প্রয়োজন। যা তার পরিবারের পক্ষে কোন ভাবেই সম্ভব না। তাই সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দ্রুত এবং কার্যকরী সিদ্ধান্তের প্রয়োজন। আর তা না হলে আমরা অচিরেই একজন মহান গেরিলা মুক্তিযোদ্ধাকে হারাবো।

সম্পর্কিত খবর