কচুয়ায় নিজ অর্থায়নে রাস্তা সংস্কার করে দিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন আব্দুর রশিদ

ইসমাইল হোসেন বিপ্লব, কচুয়া ॥ কচুয়া উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের দুর্গাপুর বাজার হতে সাচার গ্রামীন সড়কটি দুর্গাপুর বাজারের অংশে প্রায় ৪শত ফুট রাস্তা কংক্রিট ও বালু দ্বারা নিজ অর্থায়নে সংস্কার করে দিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন মালয়েশিয়া প্রবাসী গাজী আব্দুর রশিদ। র্দীঘদিন ধরে দূর্গাপুর বাজারের রাস্তার অংশটুকু সংস্কার না হওয়ায় বড়বড় গর্ত সৃষ্টি হয়। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি জলাবদ্ধতা দেখা দেয় ও চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে উঠে।

স্থানীয়রা বাজারের আসতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হতো। বিষয়টি নজরে আসে সাংবাদিকদের। এ রাস্তাটি নিয়ে সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকে লাইভ প্রচার হলে বিতারা গ্রামের প্রবাসী গাজী আব্দুর রশিদের নজরে আসে। সে দ্রুত এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর জাব্বার ও ব্যবসায়ী হাজী হারেস বেপারীর সাথে যোগাযোগ করে তাদের মাধ্যমে বেহালদশা বাজার অংশটুকু রাস্তাটি সংস্কার করে দেন। সংস্কার করে দেওয়ায় বর্তমানে পথচারী মানুষ স্বস্তিতে চলাফেরা করতে পারছেন।

ইউপির সদস্য আব্দুর জব্বার ও ব্যবসায়ী হাজী হারেজ বেপারী জানান, প্রবাসী গাজী আব্দুর রশিদের এমন মহতি সহযোগিতায় অন্যান্য প্রবাসীরাও অনুপ্রাণিত হবে। দীর্ঘদিন যাবত আমাদের বাজারের অবহেলিত সড়কটি দুই যুগ ধরে সরকারি ও বেসরকারি ভাবে কোন সংস্কার করা হয়নি। বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান পানিতে তলিয়ে যায় সড়কটি। কাঁদা মাটি পানির কারণে সড়ক দিয়ে চলাচল করতে পারেননি পথচারী বাজারের ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা।

গ্রামগঞ্জের দুর্গাপুর বাজারে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় সকল ধরনের পণ্যসহ মানুষের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় ও বিক্রি করতে আসেন এ রাস্তাটি দিয়ে এবং প্রতিদিন স্কুল,মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরাও যাতায়েত করে। রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় কয়েক শত মানুষ চলাফেরা করে। মানুষের চলাচলের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে নিজস্ব অর্থায়নে ৪শত ফুট রাস্তা সংস্কার করে দেন ওই ইউনিয়নের বিতারা গ্রামের কৃতি সন্তান মালয়েশিয়া প্রবাসী গাজী আব্দুর রশিদ। আমরা গ্রামবাসী গাজী আব্দুর রশিদ ও তাঁর পরিবারের সু-স্বাস্থ্য ও তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞা জ্ঞাপন করছি।

তারা আরো জানান, রাস্তাটি যদি স্থায়ীভাবে সংস্কার করা হয় তাহলে এলাকার মানুষ পুরাপুরি চলাচলের স্বস্তি পাবে। একটু বৃষ্টি হলে বাজারের পানি আটকিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। জলাবদ্ধতা উন্মুক্ত করার জন্য উপজেলা প্রশাসন যদি একটি ড্রেনের ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে মানুষদের অনেক উপকৃত হবে।

উপজেলার এলজিইডি কর্মকর্তা প্রকৌশলী আব্দুল আলীম লিটন জানান,সরকারি কোন বরাদ্দ আসলে বাজারের চলাচলের রাস্তাটি সংস্কারসহ ও অন্যান্য সমস্যা গুলো সমাধান করা হবে।

সম্পর্কিত খবর