স্টাফ রিপোর্টার : বহু অপকর্মের হোতা, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামীলীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম আব্দুল মোতালেব আত্নগোপনে রয়েছেন। দোদন্ড প্রতাপশালী এ ব্যক্তি গত ৫ জুলাই পর থেকে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান। অথচ বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে দলের নাম বিক্রি করে পতিতা ব্যবসা থেকে শুরু করে এমন কোন কাজ নেই যে মোতালেব করেনি। এমনই প্রভাব প্রতিপত্তি ছিলো যে কেহ কিছু বলতে সাহস পায়নি।
সিন্ডিকেট বানিয়ে বহু অপকর্ম করে বানিয়েছেন অঢেল সম্পদ। সে বর্তমানে দেশে আত্নগোপনে থেকে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পায়ঁতারা করছেন। তাঁর অপকর্মের বহু অভিযোগ এনে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, ইঞ্জিয়ার আব্দুল মোতালেব চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলাধীন ৯নং কড়ইয়া ইউনিয়নের নলুয়া গ্রামের মরহুম হাজী ইদ্রিছ মুন্সীর ছেলে। মোতালেব পি.ডব্লিউ.ডি তে ওয়ার্ক চার্জ এর ভিত্তিতে চাকুরী শুরু করেন। গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মোতালেব চাকুরীর সারাজীবন ঢাকাতেই অবস্থান করেন। মোতালেব ১৯৭১ সনে মুক্তিযুদ্ধকালীন হাজীগঞ্জ উপজেলার পাঁচই গ্রামে বড় বোনের দেবর জিন্নত আলী ভুইয়া শশুড়বাড়ী অবস্থান করেন।
তার এ আত্মীয় তৎকালীন মুসলিম লীগের সমর্থক ছিল কিন্তু সরকার কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে চাকুরীর ২ বছর অতিরিক্ত চাকরি করার সুযোগ দেয়া হবে এ ষোঘণায় সে ৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মুক্তিযোদ্ধার ভূয়া সনদ নিয়ে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জাহির করে। অতিরিক্ত মেয়াদে চাকুরী করাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের সকল সুবিধা ভাতাসহ গ্রহণ করে আসছেন।
অথচ সে বাংলাদেশ কিংবা ভারতের কোন ট্রেণিং করেনি এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের কোন প্রমান নেই। মুলত: মোতালেব একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এলাকাবাসীসহ সর্বত্রই স্বীকৃত। বাংলাদেশ গ্রেজেট ২০০৫ যা ২১ মে প্রকাশিত সেখানে তার স্থায়ী ঠিকানা অনুযায়ী নাম নেই। ফলে এলাকাবাসী ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার নাম ঘোষণার দাবী করছেন।
ইঞ্জিনিয়ার মোতালেব কচুয়ার স্থানীয় এমপির সুবাদে পদ্মা ব্যাংক (সাবেক ফার্মার্স ব্যাংক) থেকে মেসার্স ক্রিয়েটিভ ফিশিং ট্রলার নামে প্রায় ২৯ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ব্যাংকে টাকা ফেরৎ না দিয়ে সে তার আমেরিকা প্রবাসী ছেলে ও অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত মেয়ের নিকট পাচার করেন। পদ্মা ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের বিষয়ে দুদক তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় বিদেশ গমনের উপর তার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যা তখন বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রকাশ হয়। তিনি চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ঘুষ ও ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎসহ বিভিন্ন দেশে বাড়ী করেছেন।
মোতালেব একজন উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে চাকুরি করে ঢাকার বাড্ডায় ৫তলা বাড়ী, সিদ্ধেশরীতে প্যাসিফিক হার্ট টাওয়ারে ২০০০ বর্গফুটের ২টি ফ্ল্যাট, সেগুনবাগিচায় ২টি ফ্ল্যাট, কাকরাইল মার্কেটে দোকান, এ্যালিফেন্ট রোডে দোকান মিরপুরে কয়েকটি প্লটসহ নামে-বেনামে অসংখ্য সম্পদ অপকর্ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে মালিক হয়েছেন।
ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা, ব্যাংক ঋণখেলাপী, পতিতা ব্যবসায়ী, নিয়োগ ও বদলী বাণিজ্যের দালাল, বিদেশে অর্থ পাচারকারী এবং বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশল পরিষদের সেক্রেটারী ও চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম আব্দুল মোতালেবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিদেশ পালিয়ে যেতে না পারে সে দিকে নজর রাখার জন্য আইডিবির বহু সদস্য প্রকৌশলী কচুয়া তথা চাঁদপুরের জনগণ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।