হাজীগঞ্জে বিকাশে ৩ লাখ ১২ হাজার টাকা পাঠিয়ে প্রতারিত হলেন তরুণ উদ্যোক্তা

হাজীগঞ্জ প্রতিনিধি : হাজীগঞ্জে বিকাশে টাকা পাঠিয়ে প্রতারিত হলেন, তরুণ উদ্যোক্ত মো. ওমর ফারুক রাজু। এ ঘটনায় তিনি প্রতিকার চেয়ে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে হাজীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি নং- ৭৮৫) করেছেন। এর আগে তিনি গত বুধবার অজ্ঞাত ব্যক্তির ১০টি বিকাশ নম্বরে ৩ লাখ ১১ হাজার ৯৫৭ টাকা সেন্ডমানি করে প্রতারিত হন।

ক্ষতিগ্রস্ত ওমর ফারুক রাজু উপজেলার বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। সম্প্রতি তিনি তার পরিবার থেকে আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে গরুর খামার দিয়েছেন। পাশাপাশি অনলাইন মানি ট্রান্সফার (বিকাশ ও ফেক্সিলোড) ব্যবসা শুরু করেন। এর মধ্যে তিনি প্রতারিত হয়ে ক্ষতির শিকার হয়েছেন। জানা গেছে, গত ১৩ নভেম্বর (বুধবার) রাজুর ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ‘ইসলামী ব্যাংক’ উল্লেখ করে +৮৮০৯৬৩৮২২১৮৫১ নম্বর থেকে ১ লাখ টাকা করে ৪ লাখ টাকার চারটি ম্যাসেজ আসে। পরে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি (০১৩৩৪-০৮৪৭২৫) ফোন করে তাকে জানায়, তার একাউন্টে ভুলবশত ৪ টাকা চলে গেছে (জমা হয়েছে)।

এরপর টাকা ফেরত চেয়ে অজ্ঞাতনামা প্রতারক তাকে ১০টি বিকাশ নম্বর দেয়। বিকাশ নম্বর পেয়ে রাজু তার ব্যাংক একাউন্ট চেক না করে সরল মনে ও বিশ্বাসে ওই প্রতারকের দেওয়া ০১৮১৪-৪৩৩৫৩৯ নম্বরে ৪২ হাজার, ০১৮৮৭-৩৯০১৫৩ নম্বরে ৩০ হাজার, ০১৩৩৪-০৮৪৭২৫ নম্বরে ৩০ হাজার, ০১৩৩৪-৪৫৭২২২ নম্বরে ২৯ হাজার ৯৫৭, ০১৩৩৩-৫৫২০৩৫ নম্বরে ৩০ হাজার, ০১৩৩৩-৫৫২০১৭ নম্বরে ৩০ হাজার টাকা সেন্ডমানি করেন।

এছাড়াও ০১৮৫৭-৪৪৫৪০৮ নম্বরে ৩০ হাজার, ০১৭৪২-১৫৭৩০২ নম্বরে ৩০ হাজার, ০১৭৪২-১৬০৭৩০ নম্বরে ৩০ হাজার, ০১৩৩৩-৫৫১৯৫৮ নম্বরে ৩০ হাজার টাকাসহ মোট ৩ লাখ ১১ হাজার ৯৫৭ টাকা তার বিকাশ নম্বর থেকে সেন্ডমানি করেন। পরবর্তীতে তিনি বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ইসলামী ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে দেখেন, তার একাউন্টে টাকা নেই। তখন তার বুঝতে বাকি ছিলো না, তিনি প্রতারিত হয়েছেন।

এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মো. ওমর ফারুক রাজু বলেন, গত ১০ নভেম্বর (রোববার) আমি ইসলামী ব্যাংকে একটি নতুন একাউন্ট করি এবং একাউন্টে ২ হাজার টাকা জমা রাখি। ওই একাউন্টে বুধবার দুপুরে যখন ১ লাখ টাকার ম্যাসেজগুলো আসে, তখন আমি খামারের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আর ব্যস্ততার কারণে কোনো কিছু যাচাই-বাছাই না করে এবং সরল বিশ্বাসে আমার বিকাশ এজেন্ট নম্বর থেকে তার দেওয়া নম্বরগুলোতে ৩ লাখ ১১ হাজার ৯৫৭ টাকা সেন্ডমানি করে দেই।

তিনি বলেন, আমি একজন তরুণ উদ্যোক্তা। পরিবার থেকে আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে গরুর খামার ও বিকাশ- ফেক্সিলোডের ব্যবসা শুরু করি। এর মধ্যে বুধবার প্রতারণার শিকার হয়ে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এই ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। আশাকরি, থানা-পুলিশের সহযোগিতায় টাকাগুলো উদ্ধার করতে পারবো। হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মিন্টু কুমার দত্ত মিঠু বলেন, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত খবর