চাঁদপুর খবর রির্পোট: চাঁদপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ মদনা দাখিল মাদ্রাসায় ৮ম শ্রেনির ছাত্রী গণধর্ষনের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় দ্রুত সময়ের মধ্যে এজহারভুক্ত (১জন ধষনকারী ) আসামীকে গ্রেফতার করেছে মডেল থানার এসআই আওলাদ হোসেন ।
এ ঘটনায় চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বাহার মিয়ার নির্দেশে এসআই আওলাদ হোসেন সফল অভিযান পরিচালনা করে ১জন ধষনকারী আসামীকে গ্রেফতার করেছে। বিষয়টি দৈনিক চাঁদপুর খবরকে নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই আওলাদ হোসেন।
তিনি জানান, ঘটনার জানার সাথে সাথে মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ বাহার মিয়ার নির্দেশে ঘটনাস্থলে যাই । ঘটনা সত্যতা পেয়েছি । এজহারভুক্ত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহারে রয়েছে ।
গতকাল ১১নভেম্বর ( সোমবার ) ভিকটিম এর পিতা খোকন গাজী (৪৭), পিতা-মৃত রহিম গাজী, সাং-মদনা, রহিম গাজীর বাড়ী, ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়ন, থানা ও জেলা-চাঁদপুর, বাদী হয়ে চাঁদপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার ধষনকারী আসামীরা হলো :১। আল আমিন (২৩), পিতা-কালু ছৈয়াল, মাতা-মৃত মিনু বেগম, সাং-বাখরপুর, ছৈয়াল বাড়ী, ১নং ওয়ার্ড।
২। মোঃ ইমরান (২১), পিতা-লিটন আখন, মাতা-রিনা বেগম, সাং-দক্ষিণ বালিয়া, ৮নং ওয়ার্ড, ৩। নাইম হোসেন (২১), পিতা-নেছার আহম্মদ প্রকাশ নেছু, সাং-দক্ষিণ বালিয়া, বেপারী বাড়ী, ৮নং ওয়ার্ড, ৪। মোঃ সজীব (১৯), পিতা-মিন্টু গাজী, মাতা-সেলিনা বেগম, সাং-দক্ষিণ বালিয়া, ৫। মোঃ জিদনি (২২), পিতা-মনু গাজী, সাং-দক্ষিণ বালিয়া, ৮নং ওয়ার্ড, সর্বথানা-চাঁদপুর সদর।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আমি একজন জেলে, আমার বড় মেয়ে স্থানীয় দক্ষিণ মদনা দাখিল মাদ্রাসায় ৮ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। সে অতীব সহজ সরল। ১নং আসামী আল আমিন (২৩) এর স্থানীয় চান্দ্রা চৌরাস্তায় হার্ডওয়ারের দোকান আছে। আমার মেয়ে ভিকটিম আরবি শিক্ষার জন্য চান্দ্রা চৌরাস্তা যাওয়া আসা করিত। ১নং আসামী দোকানের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় সে আমার মেয়েকে বিভিন্ন কায়দায় প্রেমের প্রলোভন দিয়ে ফুসলাইয়া তাহার দোকানে নিয়ে কৌশলে মেয়ের মোবাইল ফোন নাম্বার নেয়।
কিছুদিন কথা বলার পর আমার মেয়েকে মিথ্যা বিয়ের প্রলোভনে দেখাইয়া হোটেলে নিয়া রুম ভাড়া করে ধর্ষণ করে। আমার মেয়ে ১নং আসামীকে বিবাহ করার জন্য বললে সে কৌশলে অন্যান্য আসামীদেরকে আমার মেয়ের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নাম্বারটি দিয়ে দিলে ২নং আসামী মোঃ ইমরান (২১) আমার মেয়ের সরলতাকে পুঁজি করে ফুসলাইয়া বিয়ের প্রলোভন দেখাইয়া নিয়া ধর্ষণ করে। আমার মেয়ে ২নং আসামীকে বিয়ে করার জন্য বলিলে সেও আমার মেয়েকে বিভিন্ন প্রকার খুন জখমের হুমকী দিলে আমার মেয়ে বিষয়টি গোপন করে রাখে।