স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর সেতুর টোল আদায় বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছেন যানবাহন চালকরা।
টোল আদায়কারী কর্তৃপক্ষ গাছতলা এলাকার কিছু সন্ত্রাসীদের কন্টাক করে এনে চালকদের উপর হামলা চালায়। এ সময় প্রায় ১৫ জন চালক গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
চালকদের উপর হামলার ঘটনা টোল বন্ধের প্রতিবাদে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করে চালকরা টোল ঘরটি ভেঙে ফেলে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চাঁদপুর মডেল থানার ওসি বাহার মিয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হন। এর কিছুক্ষণ পরই সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
এ সময় হামলায় আহত চালকরা প্রশাসনের কাছে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। স্থায়ীভাবে চাঁদপুর সেতুর টোল বন্ধের জন্য জেলা প্রশাসকের প্রতি অনুরোধ জানায় চালকরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুর–ফরিদগঞ্জ সড়কের গাছতলা এলাকায় টোল বন্ধ নিয়ে দুই পক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্টা দেওয়ার ঘটনাটি ঘটে। বিক্ষুব্ধ চালকরা রাস্তায় গাছ ফেলে রেখে সড়ক অবরোধ করে রাখে। দীর্ঘ তিন ঘণ্টা পর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে ও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সম্প্রতি সেতুটিতে মোটরসাইকেল চলাচলে পাঁচ টাকা টোল ধার্য করে কর্তৃপক্ষ। পরে টোল বন্ধের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন বাইকাররা। এর ধারাবাহিকতায় সাধারণ যানবাহনের চালকরাও স্থায়ীভাবে টোল বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন।
২০০৫ সালে ডাকাতিয়া নদীর ওপর চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে নির্মাণ করা হয় চাঁদপুর সেতু। ২০০৫ সালে উদ্বোধন করা হয়। নির্মাণ ব্যয় ছিল ১৮ কোটি ১২ লাখ টাকা। ২৪৮ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটি ব্যবহার করে প্রতিদিন কয়েক হাজার যানবাহন চলাচল করে। দীর্ঘ ১৯ বছরে সেতুর নির্মাণ ব্যয়ের দ্বিগুণ অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হলেও বন্ধ হয়নি টোল আদায়। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন চালকরা। দাবি জানান টোল বন্ধের।
চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মারুফ হোসেন বলেন, এই সেতুতে টোল আদায়ে এবারও তিন বছরের ইজারা দেওয়া হয়েছে। আর্থিক পরিমাণ ৯ কোটি টাকার বেশি। চালকরা টোল বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি বা চিঠি দিয়েছে। অনেক আগে চাঁদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত শামছুল হক ভূঁইয়া টোল বন্ধের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু এ বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।