ইলিশের মৎস্য আড়ৎ চাঁদপুরে এখন বড় আকারের পাঙ্গাশ শোভা পাচ্ছে!

বিশেষ প্রতিনিধি : চাঁদপুর নৌ-সীমানার ৭০কি:মিটার এলাকায় অভয়াশ্রম ঘোষনা করায় পদ্মা-মেঘনায় দীর্ঘ ২২ দিন ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকার,ক্রয়-বিক্রশ ও পরিবহন বন্ধ ছিল।

৩ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার সাথে সাথে নদীতে নামেন হাজার-হাজার জেলেরা। দীর্ঘ কর্মবিরতি শেষে ইলিশ সহ অন্যান্য মাছ শিকারের ব্যস্ত সময় পার করছেন এখন জেলেরা। যদিও নদীতে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও আশানুরূপ ইলিশের দেখা মিলছেনা। তবে ইলিশ না পেলেও জেলেদের জালে বড় বড় আকারের পাঙ্গাশ মাছ ধরা পড়ছে। আর সেই পাঙাশ বিক্রি করতে পেরে বেজায় খুশি চাঁদপুরের জেলে পাড়ার জেলেরা।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনাসহ দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসে বেশ কিছু ছোট বড় ট্রলার। তবে অধিকাংশ ট্রলারে রয়েছে বড় বড় পাঙাশ। ইলিশ না পেলেও জালে পাঙাশ উঠায় কোন রকম ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছেন এখানকার জেলেরা।

এদিকে দীর্ঘ বিরতির পর দেশের অন্যতম মৎস্য আড়ত চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মাঝে ফিরেছে কর্মব্যস্ততা। বর্তমানে ইলিশের পাশাপাশি প্রত্যেকটি আড়তের সামনে বড় বড় পাঙাশ সাড়িবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখতে দেখা যায়। আর সেই পাঙাশ বিক্রি করছেন মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ীরা।

জেলে সাচিব হোসেন বলেন, চাঁদপুরে পদ্মা মেঘনায় ইলিশ খুবই কম। তবে ইলিশের গুল্টিজাল সহ পাঙাশের আলাদা জাল রয়েছে, সেই জালে বড় বড় সাইজের পাঙাশ উঠছে। আমরা ভোর থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত চারটি বড় পাঙাশ পেয়েছি। আর সেই পাঙাশ বিক্রি করতে বড় স্টেশন মাছঘাটে নিয়ে এসেছি।

বর্তমানে এই মৌসুমটা হচ্ছে যে পাঙাশের মৌসুম, যার কারণে সব জেলের জালে অনেক-অনেক ধরা পড়ছে পাঙাশ।

ক্রেতা নূর মোহাম্মদ বলেন, ইলিশ বিক্রির খবর শুনে চাঁদপুর মাছকাটে এসেছি ইলিশ কিনতে কিন্তু এখানে এসে দেখি প্রত্যেকটি আড়তের সামনে বড় বড় পাঙাশ শোভা পাচ্ছে। নদীর পাঙ্গাস অত্যন্ত সুস্বাদু ও মূখরোচক বলে জেলে ও ব্যবসায়ীরা জানান। চেষ্টা করব ইলিশের পাশাপাশি একটি বড় পাঙ্গাস কিনতে পারি কি না।

চাঁদপুর মাছঘাটের আড়ৎদার নবীর হোসেন জানান, ২২ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকায় পাঙাস মাছের সাইজ বড় হয়েছে। এখন থেকে প্রতিদিনই মাছ ঘাটে বড় বড় পাঙাশ পাওয়া যাবে।

বর্তমানে বড় আকৃতির পাঙাশের কেজি ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর একটু ছোট সাইজের পাঙাশের দাম ৬০০ টাকা কেজি। আমরা আন-সিজনে এসব পাঙাশ ১ হাজার থেকে ১১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছি।

সম্পর্কিত খবর