চাঁদপুর খবর রির্পোট: চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সলিম উল্যাহ সেলিম বলেছেন, কোনো দুর্নীতিবাজ ও হাইব্রিডের বিএনপিতে স্থান নেই।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন হয়েছে। আমরা কি ক্ষমতায় এসেছি। ক্ষমতায় আসি নাই। অতএব সাবধান। তারেক রহমান সাহেব আমাদের নেতা। কোনো অবস্থাতেই দুর্নীতির সাথে আপস করা যাবে না। আমি দুর্নীতি করবো না, কাউকে দুর্নীতি করতে দেয়া হবে না।
২ নভেম্বর শনিবার বিকেলে চাঁদপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চাঁদপুর জেলা শ্রমিক দল আয়োজিত বিরাট কর্মী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, একদম ক্লিয়ার বলতে চাই। আমাদেরকে শপথ নিতে হবে, আমি দুর্নীতি করবো না, কাউকে দুর্নীতি করতে দেবো না। সে যেই হোক কোনো দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এ দল গঠন করেছেন। তিনি দুর্নীতিবাজ ছিলেন না। বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতি করেন নাই। তারেক রহমান দুর্নীতি করেন নাই। তাহলে আমি-আপনি দুর্নীতি করবো কেন? আজ থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে যে, নিজে দুর্নীতি করবো না কাউকে দুর্নীতি করতে দেবো না।
তিনি বলেন, সবাই বলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ১৫ বছর যুদ্ধ করেছে, আমি তা মনে করি না। দেশবাসী জানে শুধু ১৫-১৬ বছরই নয়। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে এই আওয়ামী লীগের অন্যায়, দুর্নীতি, দলীয়করণ, অনিয়ম, দেশ বিরোধী চক্রান্ত ও আওয়ামী হিন্দুস্তানের দেশ বিক্রি করার বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেছেন। আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ৪৬টি বছর বিএনপি আন্দোলন করে আসছে। আওয়ামী দুঃশাসন ও এরশাদের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছেন।
সর্বশেষ এই ১৫ বছর। ৪৬ বছরের মধ্যে বিএনপি ক্ষমতায় ছিলো মাত্র ১৩ বছর। আর ৩৩ বছর ছিলো বিরোধী দলে। বিরোধী দল থাকা অবস্থায় আমাদের কেউ কি আওয়ামী লীগে গিয়েছে? যায়নি। বিগত ১৫ বছর জুলুম নির্যাতনে কেউ বিএনপি ছেড়ে গিয়েছে । যায়নি।
তিনি আরো বলেন, যদি সত্যিকার অর্থে ২০১৮ সালের নির্বাচন হতো, তাহলে এখানকার এমপি কে থাকতেন। শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক এমপি থাকতেন। কিন্তু সঠিক নির্বাচন হয় নেই। আমাদের ভোটের অভাব নেই, কর্মীর অভাব নেই। আওয়ামী প্রেতাত্মারা আপনাদের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করতেছে। এমনকি বিএনপির কেউ কেউ আওয়ামী প্রেতাত্মাদের বাঁচিয়ে দেয়ার চেষ্টা করতেছে। তাদের ওপেন করার চেষ্টা করতেছে। হুঁশিয়ার করে দিতে চাই। আওয়ামী প্রেতাত্মারা কোনো অবস্থাতেই প্রশাসন বলেন, পাবলিক বলেন, বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করতে যেন না পারে।
যারা বিগত আন্দোলন- সংগ্রামে শ্রম, ঘাম দিয়েছে তারাই আগামীতে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে পারবে। অ্যাড. সেলিম বলেন, জেনারেল এরশাদের বিরুদ্ধে তীব্র লড়াই করেছি। বারবার আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। কেউ আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করে নাই। কিন্তু আজকে লক্ষ্য করছি, আপনাদেরকে জানাতে চাই, হয়তো আমার এই বক্তব্য শেষ বক্তব্য হতে পারে।
আমাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আপনারা সবাই সজাগ থাকবেন। কারণ আমি অন্যায়-দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলি। এজন্যে আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করছে। অতএব দোয়া করবেন, আল্লাহ যেনো বাঁচিয়ে রাখে। আর যে হত্যা করতে চায় সে যেনো প্রকাশ্যে সামনে দাঁড়িয়ে গুলি করে– সে আহ্বান জানাচ্ছি। আর পেছন থেকে যেনো কাপুরুষের মতো হত্যা করা না হয়। সমাবেশে জেলা বিএনপি সভাপতিসহ শ্রমিক দল কেন্দ্রীয় নেতা ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।