চান্দ্রা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা হলেন ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান পিন্টু শেখ!

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা হয়েও বর্তমানে চান্দ্রা ইউনিয়নের
১ নং প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে বহাল তবিয়তে রয়েছেন মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ (পিন্টু) শেখ!।

এ বিষয়টি নিয়ে চান্দ্রা ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের তৃণমূল নেতাকর্মী ও এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে! এলাকাবাসীর প্রশ্ন ফ্যাসিবাদী স্বৈরশাসক ও ছাত্র জনতা হত্যাকারী আওয়ামী লীগ সরকারের পৃষ্ঠপোষক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর যখন সমগ্র দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীগণ প্রত্যেকেই যার, যার অবস্থান থেকে গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন!

এমনকি ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও নিজেদের আড়াল করে গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এমতাবস্থায় চান্দ্রা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মোঃ আব্দুল কুদ্দুছ (পিন্টু) চাঁদপুর জেলা বিএনপি সভাপতি মানিকের বাড়ি ভাঙচুরের মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী হয়েও কিভাবে এখনো ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে স্ব-পদে বহাল তবিয়তে রয়েছেন তা নিয়ে স্থানীয় বিএনপির কিছু নেতাকর্মীগনের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

এলাকার নিরীহ বিএনপি’র স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাদের নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, চান্দ্রা ইউনিয়নের ১ নং প্যানেল চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা মোঃ আব্দুল কুদ্দুস পিন্টু শেখের বড় ভাই মোঃ খোরশেদ আলম মিন্টু, একই ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি হওয়ায়, যুবলীগ নেতা ও প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ পিন্টুর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কেউ টু শব্দ করতে সাহস পাচ্ছে না! স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা এক প্রকার হতাশাগ্রস্ত হয়ে বলেন জ্বালাও পোড়াঁও অগ্নিসংযোগ ও বিভিন্ন অপরাধের সাথে সম্পৃক্ততা থেকেও যুবলীগ নেতা মোঃ আব্দুল কুদ্দুস পিন্টু তার বড় ভাই স্থানীয় ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি প্রভাবের কারণে এখনো প্যানেল চেয়ারম্যান হিসেবে বহাল তবীয়ত রয়েছেন!

এদিকে স্থানীয় এলাকার কার্ডধারী জেলেরা বলেন, অভিযান চলাকালে গেল কিছুদিন আগে জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়েছিল প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস পিন্টু চাল বিতরণ কালে উপস্থিত থেকে জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ ব্যাপক অনিয়ম করেছেন!। তারা আরো বলেন, ইউনিয়ন বিএনপি’র স্বার্থনেসী কিছু নেতাকর্মী যুবলীগ নেতা ও প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস পিন্টুকে পরিষদের সেবামূলক কাজ ও চাল বিতরণের অনিয়মসহ বিভিন্ন অনিয়মে প্রকাশ্যে ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস পিন্টু, যুবলীগের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ করে বিএনপির নেতাকর্মীদের অত্যাচার ও নিপীড়ন করেছে। এলাকায় একে অপরের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে সে আর্থিক সুবিধা নিয়ে লাখ লাখ টাকা বাণিজ্য করেছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে নিজ ৯ নং ওয়ার্ড তার এলাকায় করেছেন আলিশান বাড়ি এই টাকার উৎস নিয়ে জনগণের মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা না নিলে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে বড় ধরনের সংঘাত ও ভয়াবহ সংঘর্ষ হতে পারে।

তাই বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য উপজেলা ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ সহ সকলের মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিবাদী বিএনপি নেতাকর্মিগণ।

 

সম্পর্কিত খবর