সমির ভট্রাচার্য্য : মোবাইল ব্যবহার করতে নিষেধ করায় অনিকা রানী দাস (১১) নামের ৫ম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্রী মায়ের সাথে অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টায় মতলব দক্ষিন উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের তেলী মাছুয়াখাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের জেলে লিটন দাসের মেয়ে অনিকা অবসর সময়ে প্রায়ই মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকতো। এই নিয়ে তার মা প্রায় তাকে বকাঝকা করত। ঘটনার দিন সকালে অনিকার মা তাকে বার্ষিক পরীক্ষার জন্য ঠিকভাবে পড়ালেখার কথা বলে হাত থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এই নিয়ে সে তার মায়ের সাথে অভিমান করে। মায়ের অনুপস্থিতিতে অনিকা ঘরের দরজা বন্ধ করে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। অনিকা এক ভাই এক বোনের মধ্যে বড় ।
অনিকার বাবা লিটন দাস বলেন, ঘটনার সময় তার স্ত্রী পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। পরেও কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে জানালা দিয়ে উঁকি দিয়ে দেখে সে (অনিকা) ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে আছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শহীদ মিয়াজী জানান, মেয়েকে ঝুলে থাকতে দেখে মায়ের আত্মচিৎকারে আশপাশের মানুষ এগিয়ে আসে। পরে তাকে উদ্বার করে স্থানীয় চিকিৎসকের নিকট নিয়ে গেলে মৃত ঘোষনা করেন।
আত্মহত্যার বিষয়টি মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশকে অবহিত করলে থানার এসআই আব্দুল আওয়াল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালেহ আহাম্মদ বলেন ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুরে প্রেরণ করা হয়েছে এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে ।