মহসিন হোসাইন : বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব শায়খুল হাদিস আল্লামা মামুনুল হক বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কয়েক হাজার হত্যা মামলা হওয়া উচিত। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এবং বিডিআরকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অপরাধে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা করতে হবে।
এরপর সামরিক আইনের শেখ হাসিনার বিচার হওয়া উচিত। ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে জনতাকে হত্যা করার জন্য শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলা করতে হবে।
২৫ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুর শহরের হাসান আলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চাঁদপুর জেলা শাখার আয়োজনে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার বিচারের দাবি এবং নৈরাজ্যবাদ প্রতিরোধে গণসমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও আওয়ামী দুঃশাসন বাংলাদেশের উন্নয়ন কিংবা জনগণের জন্য কাজ করেনি। বরং তারা আরেকটি দেশের স্বার্থে বাংলাদেশের ক্ষমতার মসনদকে পুঁজি করেছিল। এক্ষেত্রে আমি স্পষ্ট ভারতের নাম উল্লেখ করতে চাই। এখনো পর্যন্ত ভারত বাংলাদেশ বিরোধী তার মিশন থামায়নি, তারা ষড়যন্ত্রের পথ থেকে ফিরে আসেনি। বাংলাদেশ থেকে বিদায় করা গ্রহণ করা বিতাড়িত পালিয়ে যাওয়া খুনি শেখ হাসিনা এবং সবগুলো দোসরদের ভারত নিজের কক্ষে আশ্রয় দিয়েছে। খুনি শেখ হাসিনা যেখানে পালিয়ে থাকবে, সেখান থেকে তাকে ধরে এনে হাজার হাজার মানুষ হত্যার দায়ে বাংলাদেশের জনতার আদালতে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল গঠিত হয়েছে। আমরা জোর দাবি জানাই অনাতিবিলম্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আদালতে ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলা দায়ের করতে হবে। আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলবো, সারা পৃথিবীতে পাচার করা টাকাগুলোকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে দেশ এবং জনগণের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে।
কারানির্যাতিত এই নেতা বলেন, ছাত্র জনতার ঐক্যবদ্ধ গণঅভ্যুত্থানের স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এখন দেশের স্বার্থে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এ দেশে ইসলাম বিরোধী কোনো নাস্তিক্যবাদী চক্রান্ত বাস্তবায়ন হতে দেওয়া হবে না। বিজয় অর্জন করা যতটা কঠিক, আর সেই বিজয় ধরে তারচেয়ে বেশী কঠিন। শত নির্যাতন লাঞ্ছনা সহ্য করেও আমরা দেশে ছেড়ে পালাইনি। পালিয়েছে ইতিহাসের গণহত্যাকারী, খুনী, জালিম শেখ হাসিনা ও তার দোষররা।
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা লিয়াকত হুসাইন।
সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাবিবুর রহমান ও সহ-সহসাংগঠনিক সম্পাদক নূরে আলমের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমদ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মহাসচিব মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু সাঈদ নোমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহমান হেলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ফয়সাল আহমদ,
কেন্দ্রীয় সহ বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি আশিকুর রহমান জাকারিয়া, কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিষদ সদস্য মাহদী হাসান।
গণ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চাঁদপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল বাকী, মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহ খান খান, মাওলানা ইদ্রিস, মাওলানা আবু জাফর, মাওলানা আবুল বাশার, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মাওলানা মোজাম্মেল হক মিয়াজী, মতলব উত্তর উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি মাওলানা বাছির উদ্দিন সালেহি, মতলব উত্তর উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা শাহাদাত হোসাইন, হাজীগঞ্জ উপজেলা যুগ্ন আহবায়ক মাওলানা এহতেশামুল হক, ফরিদগঞ্জ উপজেলার সহ-সভাপতি মাওলানা কাওসার আহমদ, চাঁদপুর সদর উপজেলা সভাপতি মাওলানা মোশাররফ হোসেন, সহ সভাপতি মাওলনা আবু ইউসুফ, সহ-সভাপতি মাওলানা মাহমুদুল হাসান চাঁদপুরী, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ আব্দুল কাদের, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবু হুরায়রা,
চাঁদপুর পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা তারেক হাসান, ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা লিয়াকত আলি বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ ইসমাইল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
গণ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি মাওলানা আনিসুর রহমান কাসেমী, চাঁদপুর জাফরাবাদ হাফিজিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম ও সাইখুল হাদিস মাওলানা খাজা আহমদ উল্লাহ, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক মুফতি মাহবুবুর রহমান, মতলব উত্তরের বিশিষ্ট আলেমে দ্বিন মুফতি জয়নাল আবেদীন, মতলব উত্তর উপজেলা সভাপতি মাওলানা শফী উদ্দিন মতলব, দক্ষিণ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নোমান হাবিব, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসানাত, মতলব দক্ষিণ পৌর কমিটির সভাপতি মাওলানা মোজাম্মেল হক ফারুকী, হাজীগঞ্জ উপজেলা আহ্বায়ক মুফতি এনায়েতুল্লাহ কাসেমী, সদস্য সচিব মাওলানা আহসানুল্লাহ,
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি কচুয়ার কৃতি সন্তান মুফতি আতাউল্লাহ হুসাইনী, ফরিদগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আবু হানিফ, ফরিদগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মাওলানা শাহাদাত হোসাইন, হাইমচর উপজেলা আহ্বায়ক মুফতি শফিকুল ইসলাম, কচুয়া উপজেলা সভাপতি মুফতি নুরুল ইসলাম সহ বিভিন্ন ইসলামিক প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক সংগঠনের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ।
সমাবেশের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চাঁদপুর জেলা শাখার অফিস সম্পাদক হাফেজ কারী রশিদ আহমদ, প্রচার সম্পাদক হাফেজ আবু ইউসুফ, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস চাঁদপুর জেলা সংগঠন বিভাগের সম্পাদক হাফেজ মোজাম্মেল হোসাইন।