
ফরিদগঞ্জ ব্যুরোঃ এক মাস, দুই মাস নয়, মাসকে মাসকে ধরে রোগীদের সেবা না দিয়েই বেতনসহ সরকারি সব সুবিধা ভোগ করছেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা ৮ নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ইনচার্জ উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার (স্যাকমো) মোঃ নুর হোসেন।
কর্মব্য¯হতার অজুহাত ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডিউট করেন, অজুহাতে অফিসে রোগী দেখেন না।হাজিরা বইতে নেই স্বাক্ষর। থাকেন নিজ এলাকা নোয়াখালীতে সপ্তাহে ২ দিম বিকালে এসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এসে দেখা করে চলে যান।
সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালে যোগদানের পর থেকে এ পর্যন্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মাসে ৩,৪ দিন অফিস করেন, এবং পহেলা আগস্ট থেকে একদিনের জন্য অফিসে জাননাই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার নুর হোসেন এর দরজা বন্ধ এবং কড়ৈতলী স্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিটি কক্ষে দুলাবালি ও ময়লা আবর্জনা ভরপুর, দেখলে মনে হবে এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিন থেকে চার বছর ডাক্তারের চেম্বারে কেউ প্রবেশ করছে না।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ সময় কড়ৈতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সামনে কয়েকজন রোগী বসে আছে।রোগীরা বলছেন গত ১লা আগস্টের পর থেকে ডাক্তার দেখা পায়নি, অবসর প্রাপ্ত একজন পিয়ন মিজান প্রাথমিক কিছু চিকিৎসার ঔষধ প্রদান করেন। পিয়ন মিজান বলেন ডাক্তার দুই তিন মাস আসে না, রোগি আসলে বলতে হয় কাল আসবে ডাক্তার, প্রতিনিয়ত এমন মিথ্যা কথা বলতে হয়।
¯হানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফারুক আহমেদ মিয়াজি বলেন গত ৩ মাসেও ডাক্তার দেখা যায়নি,প্রতিদিনই রোগীরা এসে ভিড় করে।আমাদের দু-তিনটা ইউনিয়ন মিলে এই একটি মাত্র উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র আমাদের ইউনিয়ন ব্যতীত অন্যান্য ইউনিয়ন থেকে স্বাস্থ্য সেবার জন্য প্রতিদিনই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী আসেন, কিন্তু ডাক্তারের দেখা মিলে না , জরুরী একজন এমবিবিএস ডাক্তার প্রয়োজন,আশা করি সরকার এই বিষয়টা জরুলি দেখবেন।
¯হানীয় তাফাজ্জ্বল হোসেন পাটোয়ারী জানান,প্রতিদিনি রোগী দেখতে পেলেও ডাক্তার দেখি না।
¯
হানীয় রায়হান বলেন ডাঃ কে আমরা চোখেও দেখি না।ডিউটি না করে কোন খুটির জোরে চাকরি করে।
অভিযোগের বিষয়ে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার নুর হোসেন বলেন, এই বিষয়ে কথা বলতে পারবো না।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন ইউনিয়ন উপস্বা¯হ্য কমপ্লেক্সে ডাঃ অনুপস্থিত আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম।তদন্তে সাপেক্ষে ব্যব¯হা গ্রহণ করবো।