হাইমচরে শিশু অপহরণ করে হত্যা চেষ্টাকালে অপহরণকারী নারী আটক

স্টাফ রিপোর্টার : হাইমচরে তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে নিয়ে হত্যার চেষ্টাকালে সুফিয়া নামের এক মহিলাকে আটক করেছে এলাকাবাসী।

শিশুটি ১৯ নং উত্তর গন্ডামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাতেমা আক্তার সামিয়া। শিশু অপহরনকারী মহিলা একই এলাকা গন্ডামারা গ্রামের হোসেন মুন্সির স্ত্রী সুফিয়া বেগম।

জানাজায়, রবিবার সকাল ১০ টায় গন্ডামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে শিশু সামিয়াকে নুপুর কিনে দেয়ার কথা বলে অটোতে করে নিয়ে যায় চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়নের বাখরপুর এলাকায়। ঐখানে গিয়ে মহিলা শিশুটির কানের দুল খুলতে চাইলে শিশুটি অটো থেকে নেমে দৌড় দেয়। মহিলাটি তাকে দৌড়ে গিয়ে ধরে কানের দুল চিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। মেয়েটি চিৎকার দিলে তার মুখ কাঁদা মাটিতে চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করে। পথচারি আরেক অটো ড্রাইভার শিশুর কান্নার শব্দ শুনে এগিয়ে গিয়ে তাকে উদ্বার করে। লোকটির চিৎকারে চারোদিকের লোকজন এসে মহিলাটিকে আটক করে রাখে। পরে ঘটনাস্থলে চাঁদপুর মডেল থানা ও হাইমচর থানার পুলিশ এসে শিশু ও মহিলাকে চাঁদপুর মডেল থানায় নিয়ে যায়।

বাখরপুর এলাকার স্থানীয়রা জানান, স্বর্নের কানের দুলের লোভে মহিলাটি আজ এ শিশুকে হত্যা করতে চাইছে। আজ যদি অটো ড্রাইভার ঐখানে গাড়ি না থামাতো তাহলে এ ফুটফুটে শিশুটিকে হত্যা করতো। হাইমচর থেকে শিশুটিকে অপহরণ করে এনে আমাদের এলাকায় হত্যা করতে চাইছে এ মহিলাটি। অল্পের জন্য শিশুটি দানব মহিলার কাছ থেকে রক্ষা পেয়েছে। এ মহিলার কঠিনতম শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।

অপহরণকৃত শিশুটি বলেন, আমি স্কুলের বারান্দায় আসলে এই মহিলাটি আমাকে আম্মুর কথা বলে বাহিরে ডেকে নিয়ে যায়। আম্মুকে না দেখে আমি চলে যাইতে চাইলে সে আমাকে বলে তেমার আম্মু তোমাকে নুপুর কিনে দিবে। আমাকে বলেছে তোমাকে বাজারে নিয়ে যেতে। এই মহিলাটি একটি অটোতে করে আমাকে কোথায় যেন নিয়ে যাচ্ছিল। আমার কানের দুল খুলতে চাইছিল তাই আমি অটো থেকে নেমে যাই। সে আমাকে দৌড়ে গিয়ে মুখ মাটির ভিতর চাপ দিয়ে উপর থেকে পা দিয়ে চেপে মেরে পেলতে চাইছিল। কয়েকজন লোক এসে আমাকে বাঁচিয়েছে। লোকজন না আসলে আমাকে মেরে ফেলতো।

সম্পর্কিত খবর