উদ্যোক্তাদের আইকন সবুর খানের যে কাহিনী অনেকের অজানা

চাঁদপুর খবর রির্পোট: লিডারশিপে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের মাঝে চাঁদপুরের কৃতিসন্তান সবুর খান অন্যতম, যিনি বর্তমানে অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটিস অব এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক-এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সম্প্রতি বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির (এপিইউবি) কার্যনিবাহী পরিষদের জরুরি সভায়ও তাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সবুর খান বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির সাবেক সভাপতি। এছাড়াও তিনি ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালাইনস ( WITSA) এর সাবেক পরিচালক এবং গ্লোবাল ট্রেড কমিটির সাবেক সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

চাঁদপুরের কৃতিসন্তান ড. মো: সবুর খান দেশের অন্যতম বৃহৎ ব্যবসায়ী গ্রুপ ড্যাফোডিল ফ্যামিলির চেয়ারম্যান। ১৯৯০ এ স্বল্পপরিসরে কম্পিউটার ব্যবসা দিয়ে যাত্রা শুরু করে বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আর্থিক খাতের ৫৪ টি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে এই ড্যাফোডিল ফ্যামিলি। এ সকল প্রতিষ্ঠানে ৩৫ হাজার লোক জড়িত।

এর আগে নতুন সময়কে দেয়া এক সাক্ষাতকার থেকে জানা যায়, ব্যবসা ও পরোপকারকে সমান্তরালে রাখা সবুর খানের নীতি, মানে এমনভাবে ব্যবসা করা যাতে অন্যের জীবন উন্নত হয়। এ কারনেই, বাংলাদেশ সরকার তথা ইউজিসির নিয়ম ৫ শতাংশ শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপে পড়ানোর নিয়ম থাকলেও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী স্কলারশিপের সুবিধায় পড়াশোনা করছে।

কম্পিউটার সমিতির সভাপতি থাকাকালে তার একক প্রচেষ্টায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মাধ্যমে কম্পিউটার পণ্যের ওপর কর প্রত্যাহার হয় ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক আলাদা মন্ত্রনালয় প্রতিষ্ঠা লাভ করে, যার সুফল বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের মানুষ এখনো ভোগ করছেন।

২০১৭ সালে ড. মো. সবুর খান ড্যাফোডিল ফ্যামিলির এক তৃতীয়াংশ সম্পদ জনস্বার্থে দান করার ঘোষনা দিয়ে বাংলাদেশে অনন্য নজীর স্থাপন করেছেন। ঢাকা চেম্বারের সভাপতির দায়িত্বকালীন সময়ে তার ২ হাজার নতুন উদ্যোক্তা তৈরি প্রকল্পের মাধ্যমে সুফল পেয়েছে দেশ অনেক তরুণ মেধাবীরা।

বিভিন্ন প্রতিবন্ধতা মোকাবেলা করে, গ্রাহক সন্তুষ্টিকে পুজি করে সেবার মান বজায় রেখে দেশের শীর্ষ স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লি: বর্তমানে ৬০০ কোটি টাকা মূল্যমানের প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। এটি দেশের প্রথম পাবলিক লিষ্টেড তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানও।

ইতোমধ্যে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের লক্ষ্যে কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কে ম্যানুফেকচারিং প্লাট নির্মাণ করা হয়েছে। বিগত সরকারের অসহযোগিতা ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণে বিপুল বিনিযোগে অবকাঠামো তৈরির পরও এখনো কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। এতে প্রতিষ্ঠানটির বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হতে হচ্ছে। তারপরও গ্রাহক সন্তুষ্টি নিয়ে এগিয়ে চলছে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লি:।

নব্বই দশকে যখন এপটেক-নিটের মত বিদেশি মালিকানা ও আধিপত্য বিস্তার করা প্রতিষ্ঠান প্রশিক্ষণের বিনিময়ে দেশের অর্থ বিদেশে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন ১৯৯৭ সালে ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (ডিআইআইটি) প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। ডিআইআটি’র সাফল্যের ধরাবাহিকতায় বিদেশি অনেক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান আল্পসময়ের মধ্যে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়। অথচ ডিআইআইটি শিক্ষার মান বজায় রেখে এখনও সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

ডিআইআইটি’তে বর্তমানে প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত অনার্স বিষয়ে পড়াশোনা করছে। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পূর্বেই ডিআইআইটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশিয় প্রযুক্তি শিক্ষার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেন সবুর খান।

মানসম্মত ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির ব্রত নিয়ে ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। বিভিন্ন গুণগত কারণে এটি দেশের শীর্ষস্থানীয় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিশ্ব দরবারে সমাদৃত। যার সুনাম ইতোমধ্যে দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বপরিমন্ডলে বিস্তৃত। ইতোমধ্যেই অর্জন করেছে সবুজ ক্যাম্পাস, বিশ্ব র‌্যাংকিং এ শ্রেষ্ঠত্ব, গবেষনা ও মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের খ্যাতি।

বিশ্ববিদ্যালয়টির এলামনাইরা মাইক্রোসফট, গুগল, ফেসবুকসহ বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানে সুনামের সাথে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। শিক্ষার্থীদের শুরু থেকে দক্ষ ও কর্মক্ষম করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থ্যায়নে এ পর্যন্ত প্রায় ৭০ হাজার ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়েছে। ফলশ্রুতিতে পড়ালেখা শেষ করে কর্মসংস্থানের জন্য তাদের সমস্যায় পড়তে হয়না।

ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৫% শিক্ষার্থী স্কলারশিপে পড়াশোনা করছে, অথচ ইউজিসির নিয়ম ৫% শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপে পড়ানো। তাছাড়া কয়েক হাজার শিক্ষার্থী শতভাগ ফ্রি পড়াশোনা করছে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য তিনি ড্যাফোডিল ফ্যামিলির ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি বন্ধক রেখে ঋণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো তৈরি করেন।

ড. মো. সবুর খান দেশের কল্যাণে, দক্ষ মানব সম্পদ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে শুরু থেকে অগ্রণী ভুমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ দেশ বিদেশে শত শত অ্যাওয়ার্ড ও সম্মাননা ভুষিত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে এসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক (এইউএপি) এর সভাপতি, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি এর সভাপতি, ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালাইনস (WITSA) এর সাবেক পরিচালক এবং গ্লোবাল ট্রেড কমিটি এর সাবেক সভাপতি।

তিনি বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির সাবেক সভাপতি। তিনি বিসিএস এর সভাপতি দায়িত্বকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মাধ্যমে কম্পিউটার পণ্যের ওপর কর প্রত্যাহার ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রনালয় স্থাপন করান। ঢাকা চেম্বারের সভাপতির দায়িত্বকালীন সময়ে ২ হাজার নতুন উদ্যোক্তা তৈরির প্রকল্প গ্রহণ করেন।

তিনি জীবিকা প্রকল্পের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৪০ হাজার পরিবারকে স্বাবলম্বী করে তোলেন (daffodilfoundation.org/jeebika)। বৃত্তি প্রকল্পের মাধ্যমে কয়েক শত শিক্ষার্থীকে সম্পুর্ন খরচ বহন করে স্বাবলম্বী হতে সহযোগিতা করেছে। ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব সোস্যাল সায়েন্স (ডিআইএসএস) এর মাধ্যমে কয়েকশত অনাথ ও পথশিশুর ভরণপোষণ ও শিক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করে পরিচালনা করে আসছে (daffodil.social)।

বর্তমান যুব সমাজকে দক্ষ ও কর্মক্ষম করার লক্ষ্যে অনলাইনে ১১ টি প্রশিক্ষণ কোর্স প্রদান করেন। এই কর্মসূচীতে এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখ প্রশিক্ষনার্থী ফ্রি প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন (goedu.ac)। ২০১৭ সালে ড. মো. সবুর খান ঘোষনা দেন তিনি ড্যাফোডিল ফ্যামিলির এক তৃতীয়াংশ সম্পদ জনস্বার্থে দান করবেন। নিজ এলাকার মানুষদের যোগ্যতার ভিত্তিতে ডেফোডিল ফ্যামিলির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে পেরে তিনি গর্ববোধ করেন।

২০১৪ সালের মূল্য সংযেজন কর (ভ্যাট) বিরোধী আন্দোলন ও ২০২৪ সালের বৈষম্য বিরোধী ও নতুন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের অবদান উজ্জ্বল ও গৌরবের।

তাছাড়া সম্প্রতি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিয়ম মেনে সম্প্রতি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে ক্যাম্পাস স্থাপন করেছে। বর্তমানে দেশ বিদেশে ড্যাফোডিল পরিবারের সেবার বিস্তৃতি বৃদ্ধির জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন সবুর খান।

দীর্ঘ ৩৫ বছর পথচলায় সব সময় মসৃন ছিল না। বিভিন্ন প্রতিকুল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে চলতে হয়েছে। বিগত সরকারের ১৫ বছরে তিনি ৭১ টি মামলা মোকাবেলা করতে হয়েছে। প্রতিটি মামলায় সনাক্ত করা হয়েছে বিগত ৪ দলীয় জোট সরকারের সময় বিএনপি মনোনীত চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনীত প্রাথী হিসেবে। ড্যাফোডিল অনলাইন লি: লাইসেন্স ও ব্যবসা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

২০১৪ সালে শিক্ষার্থীদের ভ্যাট বিরোধী আন্দোলনে ইন্দনদাতা হিসেবে ড. মো. সবুর খানকে ১ নং আসামি করে শেরে বাংলানগর থানায় মামলা করে গ্রেফতারের চেষ্টা করেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের দাবীর প্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষনিক ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষনা দিলে মামলাও তুলে নেওয়ায় তাকে আর গ্রেফতার হতে হয়নি।

২০১৩ সালে মো: সবুর খানকে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসো (The People’s Republic of Burkina Faso) এর বাংলাদেশের কনস্যুলার জেনারেল নিযুক্ত করলেও গোয়েন্দা সংস্থার নেগেটিভ রিপোর্টের অভিযোগে তা বাতিল করা হয়।

উল্লেখ্য, নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে দেশের প্রথম ডিজিটাল পত্রিকা ডিজি বাংলা, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, কার্ডিওকেয়ার হাসপাতাল, ই-ট্রাভেলস, ই-সিকিউরিটিজ, মেট্টোনেট ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দিতে বাধ্য হন ড. মো. সবুর খান ।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক সুবিধার জন্য নভোফার্মার সঙ্গে ক্রয়চুক্তি করলেও আইগত ত্রুটি থাকায় বায়না অর্থ ফেরৎ গ্রহণে উচ্চ আদালতের ৩ জন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বোর্ড কর্তৃক আদেশ জারি হয় বলে তা আর হয়ে উঠেনি। অপরদিকে সবুর খান বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিপুল পরিমাণ জমি কিনে দেশের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করেন।

এতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও দর্শনার্থীসহ সর্বমহলে প্রশংসা পাচ্ছে। অন্যদিকে শুধুমাত্র বিব্রত করার উদ্দেশ্যে শতভাগ সরকারি নিয়মকানুন পালন করার পরও বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ী সনদ না দেয়া, রেড মার্ক করে রাখা, সাজেক্ট অনুমোদন না দেয়া, বিলম্ব করাসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করেছে বিগত সরকার। প্রতিষ্ঠাতা সবুর খানকে বিব্রত করার উদ্দেশ্যে ট্যাক্স সংক্রান্ত হয়রানী করা হয়। যদিও বিগত সরকারের সময়ে ৫ বার পরীক্ষা/পুন:তদন্ত করেও কোন প্রকার ত্রুটি বের করতে পারেনি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি সাপেক্ষে ২০১৩ সালে মালয়েশিয়াতে ইনহাউজ মাল্টিমিডিয়া ইনস্টিটিউট স্থাপন করেন এবং পরবর্তিতে তা বিক্রি করে দেন তিনি। ড্যাফোডিল কর্তৃপক্ষ তথা সবুর খান সবসময় আর্থিক দুনীতি, নারী কেলেংকারি ও নেশা সংক্রান্ত বিষয়ে জিরো টলারেন্স। সম্প্রতি উক্ত অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে চাকরিচ্যুত সাবেক কর্মী ড্যাফোডিল ফ্যামিলি ও সবুর খানের চরিত্র হননের জন্য বন বিভাগের/সরকারি জমিতে ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য প্রচারে লিপ্ত রয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। এ অপপ্রচারকারীদের উদ্দেশ্যে আহমেদ ছফার একটি উক্তি মনে করিয়ে দিলেন অনেকে।

আহমদ ছফা বলেছিলেন ‘শুকরের বাচ্চার যখন দাঁত গজায় তখন তার বাবার পাছায় কামড় দিয়ে পরীক্ষা করে দাঁতের ধার কতটুকু।’ এদের কেউ অফিসের গোপন ডকুমেন্ট চুরি করে জনসম্মুখে উপস্থাপন করারমতো অপরাধও করেছেন।

এসকল মিথ্যা তথ্যে প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট শাখায় যোগাযোগ না করে বিভিন্ন মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলাচ্ছে কেউ কেউ। যে কোন মিথ্যা তথ্য প্রচারের জন্য দ্রুত তাদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা জরুরি বলে মনে করে ডেফোডিল কতৃপক্ষ। তারা জানায়, প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদানে সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রস্তুত রয়েছে। তাই বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার না করে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

সর্বোপরি ড্যাফোডিল পরিবার গড়ে তুলতে ৩৫ বছরের দীর্ঘ সময়ে হাজার হাজার কর্মীর পরিশ্রমের ফলের ধীরে ধীরে বর্তমান অবস্থায় এসেছে। এ পরিবারে বর্তমানে প্রত্যক্ষ ও প্ররোক্ষভাবে ৩৫ হাজার লোক জড়িত। কোন অনিয়ম প্রমাণিত হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

কিন্তু দেখা যাচ্ছে শুধুমাত্র ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিগ্রস্ত করার মতো হীন মানসিকতা নিয়ে কাজ করছে একটি মহল। যা পরিত্যাগ করা উচিত। প্রতিষ্ঠান চলমান না থাকলে কর্মরত হাজার হাজার কর্মীর ভবিষ্যৎ চিন্তা করা উচিত। গ্রাহক, শুভাকাঙ্গী, শিক্ষার্থীসহ সর্বমহলে ভুল তথ্যের সাথে বাস্তবের মিল খুজে না পাওয়ায় বিব্রতবোধ করছে। ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রায় সর্বমহলের সহযোগিতা জরুরী।

সম্পর্কিত খবর