প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে সমাপ্ত হলো হিন্দু সম্প্রদায়ের দূ্র্গাপূজা

সমির ভট্রাচার্য্য : প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে সমাপ্ত হলো হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এর আগে মণ্ডপগুলোতে চলে সিঁদুর খেলা আর আনন্দ-উৎসব। হিন্দু সধবা নারীরা প্রতিমায় সিঁদুর পরিয়ে দেন, নিজেরা একে অন্যকে সিঁদুর পরিয়ে দেন। চলে মিষ্টিমুখ, ছবি তোলা আর ঢাকের তালে নাচ-গান।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, দশভুজা দেবী মহালয়ার দিন ‘কন্যারূপে’ পৃথিবীতে আসেন। আর দশমার দিন বিসর্জনের মাধ্যমে এক বছরের জন্য বিদায় জানানো হয় তাকে। দেবীর আগমন ও প্রস্থানের মাঝে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত মাঝের পাঁচদিন নানা আয়োজনে চলে দুর্গোৎসবে ।

গত ৯ অক্টোবর থেকে শুরু করে ১৩ অক্টোবর দশমীর মধ্যদিয়ে সমাপ্ত হয় এ দূর্গাউৎসব ।

এর মাধ্যমে দেবীকে বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। বিকালে শোভাযাত্রা শেষে একে একে করে বিভিন্ন ঘাটে জেলার ২২২ টি মণ্ডপের বেশীর ভাগ প্রতিমা চাঁদপুরের মেঘনা, হাজীগঞ্জের ডাকাতিয়া মতলবের ধনাগোদা নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।

মতলব জগন্নাথ দেব মন্দির দূর্গাপুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বিজয় বনিক ও সাধারন সম্পাদক লিটন সাহা সকলকে বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা এবং সুন্দর পরিবেশে পূজা অনুষ্ঠিত হওয়ায় প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ।

মতলব দক্ষিন উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক চন্দন সাহা বলেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা সহ চাঁদপুর জেলায় ২২২টি পূজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হয় শারদীয় দূর্গা পূজা। সুন্দরভাবে পূজা অনুষ্ঠিত হওয়ায় প্রশাসন সহ সকলকে বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানান তিনি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক তমাল ঘোষ বলেন, আজ বিজয়া দশমী, মা দূর্গাকে বিদায় জানানোর দিন।

আমরা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে দূর্গাপূজা উদযাপন করোছি। এ বছর জেলায় ২শ ২২ টি মন্ডপে সুস্ঠ ও সুন্দর পরিবেশে পূজা সম্পন্ন হওয়ায় জেলা প্রশাসক মহসীন উদ্দিন, পুলিশ সুপার আব্দুর রকিবসহ সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা জানান এবং পূজা উদযাাপন পরিষদের পক্ষ থেকে সকলকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানান । এদিকে প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে যেন কোনো বিশৃঙ্খলা বা দুর্ঘটনা না ঘটে, সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন ও পুলিশ।

সম্পর্কিত খবর