বাবুরহাটে কবির মিজি কর্তৃক সরকারি জায়গা দখলের পাঁয়তারা!

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরের বাবুরহাট মতলব পেন্নাই সড়কের মাথায় সড়ক ও জেলা পরিষদের জায়গায় আবারও মার্কেট নির্মাণ করে চিহ্নিত জনৈক কবির মিজি। কোন ফাউন্ডেশন না নিয়ে অবৈধভাবে ঝুঁকিপূর্ণ তিন তালা মার্কেট নির্মাণ করার পর বেশ কয়েকবার স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয় চাঁদপুর জেলা পরিষদ।

অবশেষে জেলা পরিষদ হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বাবুরহাটে উচ্ছেদ অভিযান চালায়। এ সময় জেলা পরিষদের জায়গায় অবৈধভাবে দখল করে মার্কেট নির্মাণ করার কারণে ভূমিদস্যু কবির মিজির একাংশ ভেঙে দেয় চাঁদপুর জেলা পরিষদ।
এছাড়া কবির মিজি একই কায়দায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের তৎকালীন সার্ভেয়ার মারুফ সহ অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে পেশি শক্তি ব্যবহার করে বাবুরহাট কুমিল্লা রোডের পাশে সড়কের জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণ করে।
সড়ক ও জেলা পরিষদের জায়গার মাঝখানে বিএস ১২৫১ দাগে কিছু অংশ বিরোধকৃত সম্পত্তি দলিল করে নেয় কবির মিজি।
তার সেই জায়গা সহ সড়ক ও জেলা পরিষদের জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করে ফেলে।

সর্বশেষ উচ্ছেদ অভিযানে কবির মিজির মার্কেটের একাংশ ভেঙে ফেলার পর সে পুনরায় সেই জায়গা দখল করে নেওয়ার পায়তারা শুরু করে।

এদিকে সড়ক ও জনপদ বিভাগের সাথে জেলা পরিষদের জায়গা সিমানা নিয়ে বিরোধ থাকায় আদালতে মামলা করা হয়।
মামলা চলমান থাকার পরেও কবির মিজি সীমানা নির্ধারণ করার জন্য জেলা প্রশাসকের বরাবর আবেদন করেন।
তার আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর অমৃত দেব নাথ স্বাক্ষরিত বিএস রেকর্ড মূলে সীমানা নির্ধারণের নির্দেশ প্রদান করা হয়। যার স্মারক নং ০৫,৪২,১৩০০,০১৫,১৩,০২৭,২৪,১২৯৯।

চিঠির আলোকে বিএস রেকর্ড অনুযায়ী জায়গা পরিমাপ না করে পূর্বের সিএস ম্যাপ অনুযায়ী জায়গা পরিমাপ করা নিয়ে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।

কবির মিজি সড়ক ও জনপদের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে আদালতে মামলা চলমান থাকার পরেও নিজে সুবিধার নেওয়ার জন্য জায়গা পরিমাপ করার চেষ্টা করে।

স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, সড়ক ও জেলা পরিষদের জায়গায় দীর্ঘ বছর যাবত দখল করে এই ভূমিদস্যু কবির মিজি ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট নির্মাণ করে। অবশেষে জেলা পরিষদের উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে কবির মিজের ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটের কিছু অংশ জায়গা ভেঙে ফেলে। সেই ভেঙে ফেলা জায়গা পুনরায় দখল নেওয়ার জন্য কবির মিজি বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে দখল করার পায়তারা করছে।

জেলা প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে সে নিজে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে।
চিঠির আলোকে বিএস খতিয়ান ও ম্যাপ অনুযায়ী জায়গা পরিমাপ না করে দুই পাশ থেকে ফিতা টেনে জবথব পরিমাপ করে। এ সময় জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার নাসির কাজে বাঁধা দিলে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত কবির মিজি জানায়, সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গায় স্থাপনা জেলা পরিষদ ভেঙে ফেলে। তার পাশাপাশি নিজের মালিকানা জাগাও ভেঙে ফেলেছে। সীমানা নির্ধারণ করার আবেদনের প্রেক্ষিতে সিএস খতিয়ান অনুযায়ী সড়ক ও জেলা পরিষদের জায়গা পরিমাপ করা হয়।

জেলা পরিষদের ও সড়ক ও জনপদের জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা ও মার্কেটগুলো যেন উচ্ছেদ করা হয় সেই দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন গতকাল দৈনিক চাঁদপুর খবরকে জানান,বাবুরহাটে জায়গা দখলের বিষয়টি আমার নলেজে এসেছে । সাথে সাথে জেলা পরিষদের সাভেয়ার নাসিরকে পাঠিয়েছি । আমাকে প্রতিবেদন দিবে । প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রশাসক ও চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের পরামশক্রমে পরবতী ব্যবস্থা নিবো ।

সম্পর্কিত খবর