চাঁদপুর বিষ্ণুদী দর্জি বাড়ির হানিফের উপর হামলার ঘটনায় থানায় জিডি

চাঁদপুর খবর রির্পোট: চাঁদপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বিষ্ণুদী দর্জি বাড়ির মৃত আকিল উদ্দিন দর্জি ছেলে মোঃ হানিফ এর উপর হামলার ঘটনায় চাঁদপুর সদর থানায় জিডি এন্টি দায়ের করা হয়েছে। যার জিডি নং-৩০১, তারিখ: ৫ অক্টোবর ২০২৪।

গতকাল ৫ অক্টোবর চাঁদপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বিষ্ণুদী দর্জি বাড়ির রফিকুল ইসলামের ছেলে অনিক দর্জি কে আসামী করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় জিডি এন্টি করেন।

জানা গেছে,গত ৩০ সেপ্টেম্বর উক্ত ঘটনায় অভিযোগ দাখিল করলেও পুলিশ কোন পদক্ষেপ নেয়নি কিংবা তদন্তে ঘটনাস্থলে যায়নি । অভিযোগ রয়েছে তদন্ত কর্মকর্তা চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই মামুনুর রশিদ আসামীরাদের কাছ থেকে আথিক সুবিধা নিয়ে বাদীকে নানাভাবে হয়রানি করেছে । আসামীদের পক্ষে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । বাদীকে হয়রানি করছেন তিনি ।

অবশেষে চাঁদপুর পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব ও চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি বাহার মিয়াকে দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকা অফিস থেকে বিষয়টি জানালেই গতকালই দ্রুত ঘটনাস্থলে তদন্তে যান চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই মামুনুর রশিদ । সেই সাথে ঘটনার ৬দিন পর ঘটনাটি জিডিএন্টি দায়ের করেন । এ ছাড়াও গতকালও উক্ত জিডির আসামীদের নিয়ে মডেল থানায় সিআরপি উপেক্ষা করে শালিশ বৈঠক বসে । না আইনের বিধিবহিভূত ।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি বাহার মিয়া গতকাল দৈনিক চাঁদপুর খবর জানান, ঘটনাটি বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা নিচ্ছি । এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি যোগদানের প্রথমদিনই বলেছি থানায় কোন শালিশী বৈঠক করা যাবে না ।কোন ঘুষ নেওয়া যাবে না । জনগন যাতে সেবা পায় তা নিশ্চিত করতে হবে ।
এদিকে এ ঘটনাটি চাঁদপুর পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিবকে দৈনিক চাঁদপুর খবরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ।

এ বিষয়ে বাদী জানান, উক্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চাঁদপুর পুলিশ সুপার ও চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি স্যারের হস্তক্ষেপে অভিযোগ দাখিলের ৬দিন পর তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগটির বিষয়ে এসআই মামুনুর রশিদ জিডিএন্টি করেন।

জিডি সূত্রে জানা যায়, ১নং বিবাদী আমার মেঝ ভাইয়ের ছোট ছেলে হয়। বিবাদী অতন্ত দুশ্চরিত্র খারাপ পরলোভী মাদক সেবনকারী এবং সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক বটে। বিবাদী অকারন আমার বসতঘরে অতর্কিত হামলা চালায়। আমাকে প্রাণে মারার জন্য বিভিন্ন অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমার ঘরে হামলা করে। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে থাকা প্রতিবেশীরা আমাকে আশ্রয়ে নিয়ে প্রানে বাচায়। একপর্যায়ে আমরা পারিবারিক ঝামেলা হওয়ায় মানসম্মানকে কেন্দ্র করে আইনের আশ্রয় না নিয়ে স্থানীয় গন্যমানা ব্যাক্তিবর্গদের অবগত করার পর সামাজিক বৈঠক বসানোর পরিকল্পনা করি।

আরো জানা যায়, পরবর্তীতে স্থানীয় কাউন্সিলর সময় সুযোগ না পাওয়ায় সামাজিক বৈঠক হয় নাই। এমতাবস্থায় ৩০সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং সন্ধ্যা আনুমানিক ৮০ঘটিকার সময় পূর্বের ঝামেলাকে কেন্দ্র করিয়া পুনরায় আমি ঘবে উপস্থিত না থাকায় আমার স্ত্রী ও আমার ছেলে মেয়েকে উদ্দেশো করে বিবাদী উচ্চশ্বরে অত্যান্ত জঘন্য ভাষায় গালমন্দ করে এবং প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।

অকারনে বসতঘরে ও আমার ছেলে মেয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি এবং মানসিক ভাবে অত্যাচার করার হুমকি দিয়ে থাকে। বিবাদী পুনরায় আমার ঘরে ডুকে আমাকে ধারালো অস্ত্র দ্বারা প্রানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি প্রদর্শন করে। উক্ত হুমকির বিষয়ে আমার কাছে সাক্ষী প্রমান আছে। বিবাদী অত্যান্ত নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এসে ঘটনাস্থলে ঝামেলা তৈরি করে এবং বেপোরয়া অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে।

সম্পর্কিত খবর