
স্টাফ রিপোর্টার : প্রবাসী ছেলে স্কুল ছাত্র অল্প বয়সে প্রেম করে বিয়ের পর স্ত্রীর সাথে অভিমান করে বিষ খেয়ে সবাইকে ছেড়ে চলে গেল দুনিয়া ছেড়ে।
চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার ২ নং নায়েরগাঁও দক্ষিণ ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড খিদিরপুর গ্রামে শাহাদাত হোসেন নামে ১৮ বছর বয়সী কিশোর অভিমান করে এই ঘটনাটি ঘটায়।
দ্রুত তাকে তার সৎ মা নাসিমা বেগম উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করায়। হাসপাতালের দায়িত্বগত ডাক্তার অবশেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শাহাদাত হোসেন নারায়ণপুর পপুলার উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ফেল করে তার প্রেমিকা মাইমুনা আক্তারের সাথে প্রেম করে ৬ মাস পূর্বে বিয়ে করে।
তার বাবা কবির হোসেন মরিচার প্রবাসে থাকা অবস্থায় তার আপন মা ফাতেমা বেগম পরকীয়া করে অন্য পুরুষের সাথে পালিয়ে চলে যায়।
পরবর্তীতে তার বাবা নাসিমা বেগমকে বিয়ে করার পর সৎ ছেলে শাহাদাতকে দেখাশোনার দায়িত্ব নেয়।
ছেলে প্রেম করে বিয়ে করার পরেও ছেলের বউকে মেনে নিয়ে বাড়িতে উঠায়। কিন্তু তার স্ত্রী মাইমুনা আক্তারের সাথে অভিমান করে বিষ খেয়েছে বলে অভিযোগ করে পরিবারের সজনরা।
শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহাদাত হোসেন মারা যাওয়ার পর মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশকে ঘটনাটি অবগত করা হয়।
এদিকে লাশের পাশে সৎ মা নাসিমা বেগম হাউমাউ করে কানতে দেখা যায়। তবে এই মৃত্যুর ঘটনাটি তার বাবাকে জানানো হয়নি।
এই ঘটনায় সৎ মা নাসিমা বেগম জানায়, তার আপন মা পরকীয়া করে অন্য পুরুষের সাথে চলে যাওয়ার পর ছোট থেকে আদর সোহাগ ভালবাসা দিয়ে শাহাদাত হোসেনকে বড় করা হয়েছে। সে প্রেম করে বিয়ে করার পরেও তা মেনে নেওয়া হয়। কিন্তু বিষ খেয়ে ঘরে বমি করার পর গন্ধ বেরিয়ে আসে। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর এই মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই তাই খুব দ্রুত যেন আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ দেওয়া হয়।
এদিকে প্রবাসী ছেলে অভিমান করে না ফেরার দেশে চলে যাওয়ায় পরিবারের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃত্যুর ঘটনাটি চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ মতলব দক্ষিণ থানাকে অবগত করেছে। এই ঘটনা কোন ধরনের রহস্য রয়েছে কিনা তা পুলিশ তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।