স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরে ডিপ্লোমা ইনি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারী সার্ভেয়ার পদে কর্মরতদের ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন বৈষম্যবিরোধী সার্ভেয়ার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ছাত্র পেশাজীবী অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রিধারী সার্ভেয়ার পদে কর্মরতরা কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন।
এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সার্ভেয়িং ডিপ্লোমাধারীগণ ডিজিটাল ভূমি জরিপ, ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ভূমি অধিগ্রহণ, সড়ক, মহাসড়ক, ব্রিজ, কালভার্ট, নদী/খাল খনন, বাঁধ, ইমারত নির্মাণসহ টপোগ্রাফিক, হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ সহ সরকারের সকল উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সরকারের সকল উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের কারিগর হিসেবে বিভিন্ন দপ্তরে সার্ভেয়ার/সমমানের পদে কর্মরত থেকে সার্ভে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীগণ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
১৯৯৪ সালের ১৯ নভেম্বর সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের (বর্তমান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়) ১৬৪ নম্বর প্রজ্ঞাপনের এবং ১৯৯৪ সালের ১ ডিসেম্বরর প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেটে সরকারের সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগকে তাঁহাদের অধীনস্থ অফিসসমূহে উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমানের পদে কর্মরত ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিপ্লোমাধারীদেরকে ২য় শ্রেণির পদমর্যাদা ও বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে নির্ধারণ করা হলেও সার্ভেয়িং ডিপ্লোমাধারীদের জন্য নির্ধারিত সার্ভেয়ার/সমমানের পদে সরকার নির্ধারিত গ্রেডের কয়েক ধাপ নিচে ১৪/১৫/১৬ গ্রেডে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ বৈষম্যমূলক।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ৪ (চার) বছর মেয়াদি সকল ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং পাশকৃতদের চাকরি/দক্ষতার শ্রেণিকরণে মধ্যম সারির ব্যবস্থাপক/সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার/সমতুল্য হিসেবে বলা হলেও সার্ভেয়িং ডিপ্লোমাধারীদের ২য় শ্রেণির মর্যাদা দেয়া হচ্ছে না, যা বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড আইন, ২০১৮ এর সুস্পষ্ট লংঘন, কারিগরি শিক্ষার অবমূল্যায়ন এবং শিক্ষার্থীদের সাথে চরম বৈষম্যমূলক আচরণ। বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির সান্নিধ্যে থেকে বাস্তবমুখী কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব বাড়তে থাকলেও দেশের সবচেয়ে প্রাচীনতম সার্ভেয়িং টেকনোলজির ডিপ্লোমাধারীগণের ব্যাপারে সরকারের উদাসীনতা অত্যন্ত দুঃখজনক।
তারা আরো বলেন, বৈষম্য নিরসনে ১৯৯৪ সালের ১৯ নভেম্বর সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের (বর্তমান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়) ১৬৪ নম্বর প্রজ্ঞাপন এবং ১৯৯৪ সালের ১ ডিসেম্বর প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেটের আলোকে সরকারের মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সংস্থায় ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং (সার্ভেয়িং) ডিগ্রিধারী সার্ভেয়ার/সমমান পদে কর্মরতদের অন্যান্য সকল ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারীদের ন্যায় বেতন স্কেল ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন করার দাবিতে আমাদের দীর্ঘ দিন আন্দোলন, সংগ্রাম অব্যাহত রয়েছে।
ইতোমধ্যে ১ অক্টোবর হতে লাগাতার কর্মসূচিতে যাওয়ার বিষয়টি আমরা আমাদের দপ্তর প্রধানকে অবহিত করেছি। নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বরাবর আবেদন ও তাগিদ প্রদান করা স্বত্বেও অজানা কারণে আমাদের ন্যায়সংগত অধিকার হতে বঞ্চিত করা হচ্ছে এবং এ বিষয়ে সরকারের উদাসীনতা অত্যন্ত দুঃখজনক।
কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে ১ অক্টোবর থেকে ৩ অক্টোবর পর্যন্ত সকাল ৯টা হতে দুপুর ১টা পর্যন্ত সারাদেশের সকল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে। আগামী ৩ অক্টোবরের মধ্যে আমাদের ন্যায়সংগত অধিকার ১০ম গ্রেড বেতন স্কেল বাস্তবায়ন না হলে, আগামী ৬ অক্টোবর হতে আরো কঠোর কর্মসূচি প্রদান করা হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন , চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এলএ শাখায় কর্মরত মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক , মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, মোঃ আব্দুর রহিম। সদর উপজেলা ভূমি অফিসে কর্মরত আর্য নন্দ, শাহরাস্তি উপজেলা ভূমি অফিসে কর্মরত মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল,
মতলব উত্তর উপজেলা ভূমি অফিসে কর্মরত মোঃ মইনুদ্দিন পলাশ, হাজীগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসে কর্মরত মোঃ আবুল কালাম, ফরিদগঞ্জ ভূমি অফিসে কর্মরত মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, মেঘনা ধোনাগোদা পানি উন্নয়ন বিভাগে কর্মরত মোঃ রেজাউল করিম,
হাইমচর উপজেলায় কর্মরত বেরিংটন চাকমা, চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডে কর্মরত মহসিন আলী, মোঃ হাবিব হাসান, মোঃ নিজাম উদ্দিন মজুমদার, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন,আমির হোসেন, চাঁদপুর সদর এলজিডি শাখায় কর্মরত হোসেন মজুমদার, চাঁদপুর সড়ক বিভাগের কর্মরত মোঃ আলাউদ্দিন, মোহাম্মদ খাদেমুল ইসলাম, জেলা পরিষদের কর্মরত মোঃ নাসির উদ্দিন সার্ভেয়ারবৃন্দ।