চাঁদপুর খবর রিপোর্ট : চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, জেলা মহিলা দল, ওলামা দল ও কৃষকদলসহ অঙ্গ সংগঠন। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে চাঁদপুর জেলা বিএনপি ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী। তার দীর্ঘ রাজনীতির ত্যাগ শ্রম ও সামাজিকতা জনগণ ও দলের নেতাকর্মীদের মাঝে বেশ সারা জাগিয়েছে।
জানা গেছে,দীর্ঘ দেড়যুগের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপিকে চাঁদপুর জেলায় নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন দলের পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতা শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক। বিএনপির বিগত সকল আন্দোলন-সংগ্রামে দুর্দিনে নেতা-কর্মীদের পাশে একমাত্র অভিভাবক হিসেবে ছিলেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির ওয়ানম্যান আর্মি খ্যাত তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতা কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক। যিনি তাঁর সাহসী নেতৃত্বে জেলা বিএনপিসহ সকল অঙ্গ সংগঠনকে একত্রিত রেখে সংগঠনকে শক্তিশালী করে রেখেছেন।
তৃণমূল কর্মীদের দাবি, সু-সময়ে বহু অতিথি নেতার বিএনপির রাজনীতিতে দেখা গেলেও দুঃসময়ে তাদের দেখা যায়নি। দলের যে কোনো বিপর্যয়ের সময় চাঁদপুরের রাজপথ থেকে শুরু করে ঢাকার রাজপথে দলের আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক। পাশাপাশি হামলা-মামলায় আহত অবস্থায় হাসপাতালে থাকা নেতাদের পাশে একমাত্র শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকই ছিলেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ ধরে চাঁদপুরে বিএনপিসহ দলের সকল অঙ্গ-সংগঠনগুলোকে নেতৃত্ব দিয়ে প্রতিটি সংগঠনকে শক্তিশালী সংগঠনে রূপ দিয়েছেন শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক। যার কারণে চাঁদপুরে বিএনপির একজন ত্যাগী ও সফল নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন জেলা বিএনপির এই সংগ্রামী সভাপতি। বিগত সময়ে বিএনপির যে কোনো দলীয় কর্মসূচি আসলে আন্দোলন -সংগ্রামে নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপকভাবে রাজপথে নেমে পড়েন মানিক। নিজে কারাবরণ করেছেন। অনেক মামলার আসামী হয়ে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর এবং যুগ পেরিয়েও নেতা-কর্মীদের নিয়ে আদালতের বারান্দায় সময় কেটেছে তাঁর। বিএনপির রাজনীতিতে এসে শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক অনেক নির্যাতনের শিকার হন। তিনি দায়ি়ত্বে আসার পর ক্ষমতার স্বাদ এখনো পান নি।
শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ীও। রাজনীতি ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের পাশে থাকতে গিয়ে অর্থ, ব্যবসা, বাড়ি-ঘর খুইয়েছেন। হয়ে দুই দফা তার শহরের বাড়িসহ অন্যান্য স্থাপনা ভাংচুর, লুটপাট ও আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়। বাড়ির ভেতর দামি একটি স্পীডবোট ছিলো, সেটিও জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহলের মতে, চাঁদপুরে বিএনপির রাজনীতিতে শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক দুঃসময়ের কাণ্ডারী হয়ে আছেন নেতা-কর্মীদের পাশে। আর দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মতে, বিএনপি সরকারের সময়ের অনেক বাঘা বাঘা নেতা আওয়ামী সরকারের কঠিন সময়ে নিজেদের বাঁচাতে আড়ালে আবডালে থেকেছেন।
কেউবা আবার সরকারি দলের সাথে আঁতাত করে চলেছেন। ঠিক তখনই সময়ের সাহসী সৈনিক হয়ে নেতা কর্মীদের পাশে ছিলেন এবং বর্তমানেও রয়েছেন শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক। তৃণমূলের এসব নেতা-কর্মী দ্বার্থহীন কণ্ঠে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে দলের ভেতরে ও বাইরে অপশক্তি চক্রের কোনো ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা অপপ্রচার ঐক্যবদ্ধ বিএনপি বরদাশত করবে না। জেলা বিএনপিতে শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বিকল্প নেতা চাঁদপুর-৩ আসনে এখনো তৈরি হয়নি। মানিক ভাই দুঃসময়ের সাহসী কাণ্ডারী। দেশে গণতন্ত্র ও বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে এ ধরনের ত্যাগী নেতাই দরকার।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট একেএম সলিম উল্লাহ সেলিম ক’দিন আগে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আগামী পার্লামেন্ট নির্বাচনে শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক চাঁদপুর-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হবেন। এ কারণে একটি কুচক্রী মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাদের দল ও নেতার নামে অপপ্রচার অপব্যাখ্যা দিয়ে তার মান সম্মানে আঘাত করছে। এসব অপচেষ্টা সফল হবে না বরং যারা এই গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারাই একদিন অন্ধকারে নিক্ষিপ্ত হবে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক যাতে পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেজন্য সু-পরিকল্পিত ভাবে ছাত্র ভাইদের একাংশকে ভুল বুঝিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করেছে। ইনশাল্লাহ চাঁদপুর জেলা বিএনপির জননন্দিত সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের গতিশীল নেতৃত্বে চাঁদপুরের পাঁচটি আসন বিএনপি বিজয় লাভ করবে।