শামীম আহম্মেদ জয় : মতলব উত্তর উপজেলার মিঠুরকান্দি গ্রামের সফিকুল ইসলাম বেপারীর খুনের আসামী নিহতের ভাই আশিক বেপারী (২৩), রবি উদ্দিন (৪৫), মজনু প্রধানের ছেলে আজিজ প্রধান (২৮), সিমা (৩০), রিনা (৩৮) ও লিপি আক্তার ৩৫) কে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হইলে আসামী ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে। ২৯ সেপ্টেম্বর উপজেলার মিঠুরকান্দি গ্রামে থেকে ঘটনার সাথে জড়িত ৬ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
রবিবার ২৯ সেপ্টেম্বর মিঠুরকান্দি গ্রামের কলিম উল্লাহ বেপারীর ছেলে মো. সফিকুল ইসলাম বেপারীর সাথে ভাই-বোনদের পৈতৃক সম্পত্তিগত বিরোধ চলছিল। গত বৃহস্পতিবার জমিজামা নিয়ে নিজেদের মধ্যে তর্কে জড়িয়ে পড়েন সফিকুল। একপর্যায়ে ভাই, বোন ও ভগ্নিপতি সকলে একত্রিত হয়ে সফিকুলকে বেধরক মারপিট করেন, এতে সফিকুল সফিকুল গুরুত্বর আহত হন। আহতবস্থায় ঢাকা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তৎপ্রেক্ষিতে মৃত সফিকুল ইসলাম বেপারীর মাতা রোকেয়া বেগম থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করিলে মতলব উত্তর থানার মামলা নং-০২, তাং-২৯/০৯/২০২৪ইং, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়।
উক্ত মামলা রুজু হওয়ার মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল হক, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ছানোয়ার হোসেন ও তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. মিজানুর রহমান উক্ত খুনের মামলার রহস্য উদঘাটন, আসামীদের সনাক্ত ও গ্রেফতারের নিমিত্তে তদন্ত করেন।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পারে যে, উক্ত হত্যাকান্ডটি সম্পত্তিগত বিরোধের কারণে সংঘঠিত হয়। তদন্তেপ্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ আসামী আসামী নিহতের ভাই আশিক বেপারী (২৩), রবি উদ্দিন (৪৫), মজনু প্রধানের ছেলে আজিজ প্রধান (২৮), সিমা (৩০), রিনা (৩৮) ও লিপি আক্তার ৩৫) আসামীদেরকে গ্রেফতার করিয়া বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে।
উক্ত আসামীদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হইলে আসামী ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে যে, সম্পত্তিগত বিরোধের কারণে সফিকুল ইসলাম বেপারীকে আমরা (আসামীদ্বয়) সকলে পরিকল্পিতভাবে মারধর করে মারাত্মকভাবে আহত করি। এতে সফিকুলের অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণের কারনে সে মারা যায়।