এস. এম ইকবাল : ফরিদগঞ্জের গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নে বিএনপির প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চির্কা চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে উক্ত প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন কালুর সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলাম নজুর পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শরীফ মো. ইউনুস।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে শরীফ মো. ইউনুস বলেন, অতীতের সকল মামলা-হামলা হয়রানি ভুলে তাদের ক্ষমা করে দিয়ে আমরা চেয়েছিলাম পারস্পরিক শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করতে। শান্তিপূর্ণ ফরিদগঞ্জে গতকাল স্বৈরাচারের দোষররা যে গঠনা ঘটিয়েছে এরপর তাদেরকে আর ছাড় নয়। আজকের পর থেকে সামনের দিনগুলোতে তাদেরকে আর ছাড় দেয়া হবে না। স্বৈরাচার হাসিনার দোসরদের প্রতিটি অন্যায়ের দাতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে স্বৈরাচার ও খুনী হাসিনা পালিয়ে গেলেও তাদের দোষররা এখনো ঘাপটি মেরে বসে আছে। শহীদদের রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি, এই শহীদদের রক্তের উপর পাড়া দিয়ে স্বৈরাচার হাসিনার প্রেতাত্মাদের ফরিদগঞ্জের মাটিতে স্থান দেওয়া হবে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মজিবুর রহমান দুলাল, মাসুদ বেপারী, উপজেলা যুবদলের সভাপতি আমজাদ হোসেন শিপন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম নান্টু, পৌর যুবদলের সভাপতি ইমাম হোসেন পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক আমিন মিজি, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আরিফ পাটওয়ারী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ফারুক হোসেন, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদী হাসান মঞ্জু, পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক আল আমিন মোল্লাসহ প্রতিবাদ মিছিলে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনকে কেন্দ্র করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকারের নেতৃতে কয়েকটি মসজিদে দোয়ানুষ্ঠান ও নয়াহাট বাজারে কেককাটা অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। পরে রাতে বিএনপি নেতা কর্মীরা মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা বের করে নয়ারহাট বাজারে গেলে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে স্থানীয় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ইমান গাজী, পৌর সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব সবুর পাটওয়ারী রুবেল ও বিএনপির সমর্থক বৃদ্ধ বিল্লাল হোসেন গাজী এবং ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি পুতুল সরকার আহত হয়।
এ ঘটনায় নয়াহাট বাজারের ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কয়েকবার টহল দেয় এবং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হানিফ সরকার বলেন, নয়াহাট এলাকায় মারামারির ঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।