চাঁদপুরে দেনাদার কে হত্যা করতে গিয়ে নিজেই এখন শ্রীঘরে

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরে দেনাদারকে টাকা পরিশোধ না করে, তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে নিজের জালে নিজে পেঁচিয়ে এখন শ্রীঘর বা জেল হাজতে গিয়েছেন, এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।

চাঁদপুর সদর মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দেনাদার লিটন বেপারীর নেতৃত্বে গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাত অনুমান ১০ টার তাঁর ছেলে তানজিল বেপারী, বিষ্ণুদী এলাকার মোস্তফা কামাল, নিউ ট্রাক রোড এলাকার আহমেদ সোহাগ জাহিদ ও লোধেরগাঁও গ্রামের মিজি বাড়ির মেহেদীসহ আরো বেশকজন সন্তাসী দেশীয় ধারালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে

পাওনাদার মতলব দক্ষিণ উপজেলার মাস্টার বাজার এলাকার গোবিন্দপুর গ্রামের (বর্তমান মাদ্রাসা রোডের বাসিন্দার)আইয়ুব আলীর ছেলে তৈয়ব আলী (৪৯) কে হত্যার উদ্দেশ্য হামলা করে। আচমকা এ হামলায় সন্তাসীরা তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে।

ঘটনার বিষয় আহত তৈয়ব আলী জানান, মধ্য মৈশাদী এলাকার, লিটন বেপারী আমার আত্মীয়তার সূত্রে আমার কাছে থেকে , ১১ লাখ টাকা হাওলাত হিসেবে নিয়েছে। টাকা না দিয়ে সে তালবাহানা করতে থাকে। নানা প্রতিকূলতা পার করার পর এক পর্যায়ে সে প্রায় ৫ লাখ ২৬ হাজার টাকা মূল্যের একটি জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়। এরপর বাকী ৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকা পরিশোধ না করে টালবাহানা শুরু করে।

বাকী টাকার জন্য আমি তাগাদা দিলে দেই দিচ্ছি বলে কালক্ষেপন করতে থাকে। এ অবস্থায় আমি আমার পাওনা টাকা বুজে পেতে দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার লিটন বেপারীসহ আরো দুজনের বিরুদ্ধে আদালতে সিআর ২১১/২০২৪ মামলা দায়ের করি ।

মামা তদন্তকারী কর্মকর্তা লিটন বেপারীর বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।এরপর সে অপর আসামিদের নিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাকে হুমকি-ধুমকি দিতে থাকে।

আমি তাতে কোনো কর্নপাত না করায়, গত ৩ জুলাই দুপুর অনুমান দুইটার দিকে বিবাদী মোস্তফা কামাল সহ সঙ্গীরা আদালত চত্বরে আমার উপর হামলা চালায়।

তখন এ ঘটনায় মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি।
এরপর থেকে উল্লেখিত বিবাদীরা আরো ক্ষিপ্ত হতে থাকে। সেই থেকে তারা আমাকে হত্যা জন্য বিভিন্ন ভাবে ফন্দি আঁটে।

তাদের সেই ফন্দি অনুযায়ী গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাত অনুমান দশটার দিকে বাসস্ট্যান্ড ফয়সাল শপিং কমপ্লেক্স সন্মুখে হামলা চালিয়ে আমার স্যামসাং এস ২৪ আল্ট্রা এন্ড্রুয়েড মোবাইল সেট যার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ১৯ হাজার ৫ টাকা এবং নগদ সাড়ে ৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

হামলার পর আমি অঞান হয়ে রাস্তা পড়ে থাকি, পরে স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনা শুনে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান।

পরে পুলিশ ঘটনায় জড়িতদের আটকে অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে লিটন বেপারী নিজের হাত নিজে কেটে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। এরপর তিনি উক্ত ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহের জন্য থানায় গিয়ে আমার বিরুদ্ধে একটি সাজানো নাটক তৈরি করে অভিযোগ দায়ের করার চেষ্টা করলে ঘটনাস্থলে যাওয়া পুলিশ টীম তাকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করে। পরে আদালত তাঁকে জেলহাজতে প্রেরণ করে।

আহত তৈয়ব আলী উক্ত ঘটনার সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান।

সম্পর্কিত খবর