শাহরাস্তি হোমিও কলেজের ডাঃ বাসেতকে পুনরায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ করার পাঁয়তারা

স্টাফ রিপোর্টারঃ শাহরাস্তি উপজেলার দোয়াভাঙ্গা এলাকার ‘চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ’র অবৈধ প্রভাষক ডাঃআব্দুল বাসেতকে ঐ কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষকে সরিয়ে তারই স্থলাভিষিক্ত করার জন্যে একটি মহল উঠে পরে লেগেছে বলে জানাযায়।

যেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তার শিক্ষা সনদের তথ্য গোপন ও বয়স কমিয়ে নিয়োগ লাভ করে ১৬ বছর ধরে সরকারি বেতন ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। তাকেই আবার কিভাবে একই প্রতিষ্ঠানের প্রধান করা হয়। বিষয়টি নিয়ে অন্যান্ন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানাযায়, অভিযুক্ত শিক্ষক ডাঃআব্দুল বাসেতের বিরুদ্ধে তার শিক্ষা সনদের তথ্য গোপন করে,বয়স কমিয়ে চাকুরিতে যোগদান করে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে সরকারের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠে।এমনকি বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি চাঁদপুরের স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা গুলোতে সংবাদ প্রকাশিত হয়।এই একই শিক্ষককে আবার কলেজের অধ্যক্ষ করার জন্য চেষ্টা তদবির চলছে।

আরো জানাযায়, চাঁদপুর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ (শাহরাস্তি) ‘র বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, ডাঃমোঃতামজিদ হোসেন কে সাময়িক বরখাস্ত করে। তার স্থলাভিষিক্ত করার জন্য প্রভাষক ডাঃআব্দুল বাসেতকে তার অনুসারী কয়েকজন শিক্ষকের সুপারিশের প্রেক্ষিতে উক্ত কলেজের সভাপতি ও শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মোঃইয়াসির আরাফাত গত ১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক বোর্ড এর রেজিস্ট্রার-(সচিব) বরাবরে একটি পত্র প্রেরন করেন।

আরো জানাযায়, এই সিধান্তে উক্ত কলেজের মোট ৩৭ জন শিক্ষকের মধ্যে ২৫জন শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটর স্থায়ী ৬জন সদস্য তাদের কোন সম্মতি ছিলনা।তারা সকলেই এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে।

বিষয়টি নিয়ে সাধারন শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রশ্ন হলো একজন শিক্ষক যেখানে তার সনদ জালিয়াতি করে বয়স কমিয়ে চাকুরিতে যোগদান করেন,সেই অবৈধ শিক্ষকের জন্য তাহলে কিভাবে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি নিজেই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেন।যা সম্পূর্ণ অনুচিত ও বেআইনি।বিষয়টি তারা ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করবেন বলে জানান।

বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ডাঃআব্দুল বাসেতের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি জানান,এই বিষয়ে অধ্যক্ষই ভালো বলতে পারবে, তিনি এখন ব্যাস্ত রয়েছেন পরে কথা বলবেন।
বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডাঃমোঃতামজীদের সাথে আলাপকালে তিনি জানান,আমি এই কলেজটিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য অনেক কিছু করেছি,কিন্তু একটি মহল তাদের স্বার্থ হাসিল করতে না পেরে আমার পেছনে স্বরযন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

আসলে আমি সেই মহলটির স্বরযন্ত্রের স্বীকার। তিনি আরো বলেন যেখানে একজন শিক্ষক অবৈধ পন্থায় নিয়োগ লাভ করেন, কিভাবে তাকে পুনরায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের জন্য সুপারিশ করা হয়। যা আমার বোধগোম্য নয়।
বিষয়টি নিয়ে কলেজের সভাপতি ও শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আরাফাতের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,শিক্ষক ডাঃবাসেতের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠার পূর্বেই আমি কয়েকজন শিক্ষকের সুপারিশে তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের জন্য সুপারিশ করেছিলাম। তখন তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ উঠেনি।এখন যখন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তা অবশ্যই যাচাই বাছাই করে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উক্ত বিষয়টি নিয়ে কলেজের শিক্ষক মন্ডলী, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম খোভ বিরাজ করছে। তাই তারা চাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন বিষয়টি নজরে নিয়ে সুষ্ঠ-তদন্ত সাপেক্ষে একটি সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

সম্পর্কিত খবর