স্টাফ রিপোর্টার: চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট একেএম সলিম উল্লাহ সেলিম বলেছেন, আগামী পার্লামেন্ট নির্বাচনে শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক চাঁদপুর-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হবেন। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে চাঁদপুর জেলা বিএনপি ঐক্যবদ্ধ এবং শক্তিশালী। তার দীর্ঘ রাজনীতির ত্যাগ শ্রম ও সামাজিকতা জনগণ ও দলের নেতাকর্মীদের মাঝে বেশ সারা জাগিয়েছে। ছাত্র জনতার বিপ্লবের ঐতিহাসিক বিজয়ের পর আমরা চাঁদপুরকে শান্ত রাখতে সক্ষম হয়েছি। এসব কারণে একটি কুচক্রী মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাদের দল ও নেতার নামে অপপ্রচার অপব্যাখ্যা দিয়ে তার মান সম্মানে আঘাত করছে। আমরা জানি চাঁদপুরের মানুষ এবং সাংবাদিক সমাজ অত্যন্ত সচেতন। এসব অপচেষ্টা সফল হবে না বরং যারা এই গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারাই একদিন অন্ধকারে নিক্ষিপ্ত হবে।
শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক যাতে পার্লামেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেজন্য সু-পরিকল্পিত ভাবে ছাত্র ভাইদের একাংশকে ভুল বুঝিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করেছে। তথাকথিত স্মারকলিপিটি সম্পূর্ণ ভুয়া মিথ্যা ভিত্তিহীন কাল্পনিক বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ইনশাল্লাহ চাঁদপুর জেলা বিএনপির জননন্দিত সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের গতিশীল নেতৃত্বে চাঁদপুরের পাঁচটি আসন বিএনপি বিজয় লাভ করবে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় দলীয় কার্যালয়ে জেলা বিএনপি আয়োজিত চাঁদপুরের সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে সভাপ্রধানের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুব আনোয়ার বাবলু, সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন খান বাবুল,দেওয়ান মোঃ সফিকুজ্জামান,খলিলুর রহমান গাজী,ফেরদৌস আলম বাবু, ডিএম শাহজাহান,সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সেলিমুছ সালাম,সাংগঠনিক সম্পাদক মুনির চৌধুরী, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড.হারুনুর রশীদ, বিশেষ পিপি অ্যাড. সামছুল ইসলাম মন্টু, শাহজালাল মিশন, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মোশাররফ হোসাইন, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল কাদের বেপারী,প্রচার সম্পাদক শরীফ উদ্দিন আহমেদ পলাশ। বিএনপি নেতা অ্যাডঃ জাহাঙ্গীর আলম।
বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত,সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক সোহেল রুশদী, দৈনিক প্রভাতী কাগজের সম্পাদক ও প্রকাশক আব্দুল আউয়াল রুবেল,দৈনিক আলোকিত চাঁদপুরের সম্পাদক মো:জাকির হোসেন ,দৈনিক চাঁদপুর প্রবাহের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার শাওন পাটওয়ারী প্রমুখ ।
উপস্থিত ছিলেন দৈনিক চাঁদপুর কন্ঠের প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত, দৈনিক চাঁদপুর বার্তার সম্পাদক শহীদ পাটওয়ারী,চাঁদপুর সংবাদের সম্পাদক আব্দুর রহমান,দৈনিক চাঁদপুর দর্পনের সম্পাদক শরীফ চৌধুরী, চাঁদপুর প্রবাহের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রহিম বাদশা,প্রথম আলোর আলম পলাশ, প্রেসক্লাব সদস্য মিজানুর রহমান, দৈনিক শপথের সম্পাদক কাদের পলাশ, দৈনিক চাঁদপুরের সম্পাদক কেএম মাসুদ, সুদীপ্ত চাঁদপুরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এমআর ইসলাম বাবু,আলোকিত চাঁদপুরের সম্পাদক ও প্রকাশক জাকির হোসেন, চাঁদপুর সময় পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক এম ফরিদুল ইসলাম, চাঁদপুর দিগন্তের ইলিয়াসসহ অন্যরা।
এছাড়াও যুবদলের শাহজাহান কবির খোকা, ছাত্রদলের ইমান হোসেন, ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সলিম উল্লাহ সেলিম আরো বলেন, চাঁদপুরে আওয়ামী প্রেতাত্মারা কিশোর গ্যাং লাগিয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমীসহ সরকারি সম্পত্তি ভাংচুর অগ্নিসংযোগ করেছে।কিন্তু শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক সরকারি সম্পত্তি ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রক্ষায় কাজ করেছে।মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিয়েছে। সেজন্য মানুষের ধারে ধারে গিয়েছে। হিন্দু ভাইদের সাহস দিয়েছে নিরাপত্তা দিয়েছে।শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক যাতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেজন্য সু-পরিকল্পিত ভাবে ছাত্র ভাইদের ভুল বুঝিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করেছে।কিন্তু আমরা বলতে চাই শুধু শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকই নন তার নেতৃত্বে চাঁদপুরের ৫ টি আসনে বিএনপি জয়লাভ করবে।
আমরা বলতে চাই জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে যে স্মারক লিপিটি দেওয়া হয়েছে এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভুয়া।এই বানোয়াট স্মারক লিপির উপর কারো কোন বিশ্বাস নেই। এর একমাত্র কারন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য।
তিনি বলেন, আমরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ভাইদের আমরা ভালোবাসি। তাদের যেকোনো ন্যায় সঙ্গত দাবির প্রতি আমাদের সব সময় সমর্থন থাকবে।বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ডাক দিবে তাদের সাথে থাকব।কিন্তু তাদের বিভাজন বিভক্তি আমাদেরকে খাটো করছে। ৫ আগস্টের বিপ্লবকে নস্যাৎ করছে।বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ডের উপরও আঘাত হানছে।আমরা মনে করি মিথ্যা বানোয়াট ষড়যন্ত্র মূলক স্মারকলিপি ষড়যন্ত্রের অংশ। এর কারণ পার্লামেন্ট নির্বাচন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।
সেলিম বলেন,চাঁদপুরে এক সময় একটি রাজনৈতিক পরিবেশ ছিলো। কিন্তু গত ১৭ বছর এই পরিবেশটি পুরো বিনষ্ট করে দিয়েছে।আমরা সেই পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে চাই।