চাঁদপুর জেলা বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা পরিবারের মানববন্ধন

সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী : বৈষম্য দূরীকরণে মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ, জাতীয়করণের পূর্ব পর্যন্ত শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পদায়ন বন্ধ রাখা ও শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠনের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দিয়েছে চাঁদপুর জেলা বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা পরিবার।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টা থেকে ঘন্টাব্যাপী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপিতে শিক্ষকরা উল্লেখ করেন, শিক্ষা বিভাগের দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো একাডেমিক ও প্রশাসনিক। শিক্ষকেরা একাডেমিক কাজে দক্ষ। তাদের সকল প্রশিক্ষণ পেড্যাগোজি কেন্দ্রিক। ক্লাসরুমের শিক্ষণ-শিখনে তারা দক্ষ। অন্যদিকে শিক্ষাপ্রশাসনে দীর্ঘ ৩১ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের সকল প্রশিক্ষণ প্রশাসনিক। শিক্ষকতা ও প্রশাসন ভিন্ন চরিত্রের, ভিন্ন বৈশিষ্টোর, কাজের ধরন ভিন্ন, চর্চা বা অনুশীলন ভিন্ন। শিক্ষকরা প্রশাসনে অনভিজ্ঞ,

জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপ পরিচালক পদে তাঁদের পদায়ন করা হলে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক শূণ্যতা যেমন সৃষ্টি হয় তেমনি ক্লাসরুম শিক্ষকতায় অভিজ্ঞ একজন শিক্ষককে উল্লেখিত পদসমূহে পদায়ন করা হলে বিভিন্ন বিধিবিধান সম্পর্কে পূর্বজ্ঞান না থাকার কারণে অফিসের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অধস্তন পদের লোকজনের পরামর্শ দ্বারাই পরিচালিত হতে হয়।

প্রশাসনিক দৃঢ় সিদ্ধান্ত তাঁরা গ্রহণ করতে সমস্যা হয়। এছাড়াও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষকগণকে পদায়ন করা হলে প্রশাসনিক অনভিজ্ঞ সিনিয়র শিক্ষকের অধীনে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার প্রধানগণ কে কাজ করতে হবে, এতে শিক্ষাঙ্গনে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হতে পারে। সে কারণে উপজেলা, জেলা, অঞ্চল ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমিক শাখায় ৩১ বছর শিক্ষাপ্রশাসনে কাজের দক্ষতা সম্পন্ন ৬ষ্ঠ গ্রেড ভুক্ত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের পদোন্নতি ও পদায়ন।

শিক্ষার মাঠ প্রশাসনে কাজ করা ১০-২২ বছরের দক্ষ, অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত SESIP এর জনবল রাজস্বখাতে স্থানান্তরের অসমাপ্ত কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।

বহুমাত্রিক সমস্যায় মাধ্যমিক শিক্ষা জর্জরিত। স্কুল, মাদরাসা, সরকারি, বেসরকারি, ইংরেজি ভার্সন এ ধরণের নানা রকম প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এদের মধ্যে বৈষমা প্রকট। দ্রুতপরিবর্তনশীল বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে একটি শিক্ষাসংস্কার কমিশন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সভাপতি শফি উল্লাহ সরকার, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, জমিয়াতুল মোদাররেসিন মাদ্রাসার সদস্য আমিনুল ইসলাম, প্রভাষক ফজলুর রহমান, চান্দ্রা ফাজিল মাদ্রাসার সহকারি অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহ আলম, উত্তর শাহতলী জোবাইদা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুজ্জামান,

বিষ্ণুদি ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলবী বাছির হোসেন, রুহুল আমিন, দাসাদী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা জহুরা ইয়াসমিন, মর্জিনা খানম, লেডি প্রতিমা মিত্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নাসিমা আক্তার, রাজরাজেশ্বর ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাজিব খান, প্রদীপ চন্দ্র সরকার, ঘোলঘর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইসমাইল হোসেন,

ইফতেখার হোসেন, বিদ্যুৎ সরকার, ওসমান গনি, আনোয়ারা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারি মৌলভী মাওলানা মোঃ হযরত আলী, অফিস সহকারি কামাল হোসেনসহ বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক এবং শিক্ষিকা বৃন্দ।

সম্পর্কিত খবর