চাঁদপুর চেম্বারের আয়োজনে ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময়

স্টাফ রির্পোটার : চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন এবং পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব -এর সাথে ব্যাবসায়ীদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে চেম্বার ভবন মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চাঁদপুরের নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, নদী বন্দর চাঁদপুর জেলায় অপার সম্ভাবনা থাকলেও তেমন কোন শিল্প কারখানা নেই। অথচ আমাদের পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জ জেলায় নদী বন্দরকে কেন্দ্র করে শত শত শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। গত কয়েকদিন আগেও আমেরিকা এবং চায়না থেকে ব্যবসায়ী উদ্যোক্তারা বাংলাদেশের এসেছেন। তারা আমাদের দেশে ইনভেস্ট করতে চান। ‌আপনারা আমাকে আইডিয়া দিন, চাঁদপুর নদী বন্দরকে কাজে লাগিয়ে কোন কোন শিল্প কারখানা গড়ে তোলা যায়। প্রয়োজনে আমি ইনভেস্টরদেরকে এখানে নিয়ে আসব। চাঁদপুর নদী বন্দরকে শিল্প নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে, আসুন আমরা শুরুটা করি।

তিনি আরো বলেন, একজন মানুষের সুখে থাকার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন নেই। গত কয়েক দিন পত্রিকায় খবর আসছে, অনেক টাকার মালিক এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। যে টাকা এক রাত নিশ্চিন্তে ঘুমানোর নিশ্চয় দিতে পারে না, সে টাকার প্রয়োজন নেই। কিন্তু আমরা ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা এমনকি রাজনীতিবিদদের মধ্যেও সে প্রবনতা দেখতে পাচ্ছি।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, চাঁদপুরের পুরো বাজার ব্যবস্থাকে সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসা হবে। কেউ যেন চাইলেই কোনো পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিতে না পারে। আমি আপনাদের কথা দিতে পারি আপনাদের উপর কোন আইন প্রয়োগ করা হবে না। ‌কিন্তু বিনিময় আপনাদের অবশ্যই সৎ থাকতে হবে। আমি কিংবা আপনি মুখে বললেই হবে না, বাস্তবতাটা আমি চাই। চাঁদপুরে এমন একটি ভালো বাজার আমারা চাই, যে বাজারে কোন মনিটরিং করার প্রয়োজন থাকবে না।

চাঁদপুরের নবাগত পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব বলেন, চাঁদপুরে আসার পর আমি যে কয়েকটি সভা করেছি সবখানেই যানজটের বিষয়টি উঠে এসেছে। যার অন্যতম কারণ, এখানে মানুষের প্রয়োজনের তুলনায় গাড়ির সংখ্যা অনেক বেশি। বিগত কয়েক বছরে গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও রাস্তার আয়তন কিন্তু বাড়েনি।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, এখানে অনেকেই বলছেন চাঁদপুরে একটি লাইসেন্স দিয়ে একাধিক অটোরিক্সা চলে। তাছাড়া অন্য জেলার সিএনজি চালিত অটো রিক্সা এ জেলায় ঢুকে পড়ে। এসব নিয়ন্ত্রণে আমরা দ্রুত কাজ শুরু করছি। চাঁদপুর শহরে রাস্তাগুলো অনেক ছোট এবং অল্প কিছু রাস্তা রয়েছে। ‌শহর থেকে আসা যাওয়ার বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় যানজট লেগে থাকে। এর থেকে উত্তরণে বিকল্প রাস্তা কোথাও ভাবতে হবে।

চাঁদপুর চেম্বারের সিনিয়র সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্ব ও সহ-সভাপতি তমাল কুমার ঘোষের পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদ, জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক নূর হোসেন, জেলা মার্কেটিং অফিসার মাসুদ রানা, চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক সালাউদ্দিন মোহাম্মদ বাবর,

চেম্বার পরিচালক ও রাইস মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম কিশোর, চেম্বার পরিচালক ও চাঁদপুর চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম, চাঁদপুর সার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শরীফ মোঃ আশ্রাফুল হক , চাঁদপুর বেকারী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিএম হারুনুর রশিদ, চাঁদপুর হোটেল রেস্তরা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আখন্দ,

চাঁদপুর রাইস মিল মালিক সমিতির ফয়সাল আহমেদ, ভুসা মাল ব্যবসায়ী সমিতির শাহজাহান কবির খোকা, পালবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হারুনুর রশিদ, চাঁদপুর বস্ত্র সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বাবুল, জেলা পরিবেশক সমিতির সভাপতি কামরুল ইসলাম জগলু, ব্যবসায়ী আসলাম তালুকদার,আদা,রসুন ও পেয়াজ ব্যবসায়ী মোস্তফা মোল্লা,আটা, ময়দা ও চিনি ব্যবসায়ী সুবল চন্দ্র পোদ্দার, মৎস্য ব্যবসায়ী মামুন।

সম্পর্কিত খবর