মো. হোসেন বেপারী : ভারতে রপ্তানি হবার খবরে চাঁদপুরে বেড়েছে ইলিশের দাম। আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর ইলিশের ভরা মৌসুম। এই মৌসুমে ইলিশের দাম কিছুটা কম হবার প্রত্যাশা থাকলেও চাহিদা বেশি থাকায় বেড়েছে দামও।
বর্তমানে চাঁদপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয় ১৮শ/ ১৮শ ৫০টাকা। আর এক কেজির উপরে দুই হাজার টাকায় বিক্রয় করা হয়। এক কেজির নিচে ১৫শ-১৬শ টাকা ধরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
জেলার কচুয়া উপজেলা থেকে ঘাটে আসা শফিকুল ইসলাম জানান, অন্যান্য বছর এসময়ে বড় বড় ইলিশ পাওয়া যেতো। দামও থাকতো কম। এবছর মাছও ছোট দামও নাগালের বাইরে।
হাজীগঞ্জ থেকে আসা জসিম উদ্দিন জানান, ইলিশের বাড়িতেই ইলিশের দাম চড়া। ইলিশের দামে মনে হচ্ছে এ যেনো সোনায় মোড়ানো ইলিশ।
এদিকে আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর মা ইলিশ রক্ষার অভিযান চলবে। ওইসময় ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকবে। এতে করে বর্তমান সময়ে ইলিশের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। সরবরাহের চেয়ে ক্রেতা বেশি হওয়ায় ইলিশের দাম চলতি মৌসুমে কমানোর আর সুযোগ নেই বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি মানিক জমাদ্দার বলেন, আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে দাম আরো বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। মাছের চাহিদা বেশি আর ভারতে রপ্তানি হবে এমন খবরে এমনটা হচ্ছে। এছাড়া এবার ইলিশের ভরা মৌসুমেও বড় ইলিশ মিলছে না। বিগত বছরগুলোতে এমন সময়ে এক কেজির উপরের ইলিশ পাওয়া যেত বেশি। এবার এক কেজির নিচে ইলিশ বেশি। আরেক দিকে চাহিদা বেশি হওয়ায় দাম উর্ধ্বগতি হচ্ছে।
জেলা মৎস্য বিভাগের দেয়া পরিসংখ্যানে দেখা গেছে গত বছর জুলাই-আগস্টে ৩ হাজার ৩শ ৩ মেট্টিক টন ইলিশ ধরা হয়েছে। এবার এই দুই মাসে ৩ হাজার ২শ ৩ মেট্টিক টন ইলিশ মিলেছে। ২০২৩-২০২৩ অর্থ বছরে চাঁদপুর অঞ্চলে ৩৫ হাজার মেট্টিক টন ইলিশ ধরা পড়ে জেলেদের জালে। তবে এমন পরিসংখ্যান মানতে নারাজ ব্যবসায়ী ও জেলেরা।