এস. এম ইকবাল, ফরিদগঞ্জ : আত্মগোপনে আছেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মিরাজ।
ইউপি সদস্যদের একাংশের এমন অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে সরেজমিন গিয়ে বাড়িতেই পাওয়া গেল তাকে। সেখানেই করছেন সালিশ। প্রয়োজনীয় স্বাক্ষরাদিও সারছেন সেখানেই। বাড়িতেই বিকল্প ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় গড়ে তুলেছেন তিনি!
কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, নৌকার মনোনয়নে চেয়ারম্যান হয়েছি। সরকার পতনের পর সাবেক চেয়ারম্যান বাছির আহমেদের নেতৃত্বে আমার কার্যালয়ে তালা দেওয়া হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না। পরিষদে গেলে লাঞ্ছিত হবার আশঙ্কা করছি। তাই বাড়িতেই বসে কাজ করতে হচ্ছে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মিরাজের বিরুদ্ধে নানান প্রকল্পে অনিয়ম, টাকা আত্মসাত এবং সরকার পতনের পর থেকে আত্মগোপনে থাকার অভিযোগ আনেন তার ইউপি সদস্যদের একাংশ।
লিখিত বক্তব্যে তারা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হোল্ডিং ট্যাক্সের এক কোটির অধিক টাকা ব্যাংকে জমা না দেওয়া, কাজ না করে কাবিখা-কাবিটা প্রকল্পের টাকা উত্তোলন, নিজস্ব বাহিনীর সিম কার্ড ব্যবহার করে ৪০ দিনের কর্মসূচী প্রকল্পের টাকা উত্তোলন এবং উল্লেখিত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেন তারা। এছাড়াও জন্ম সনদ, মৃত্যু সনদ, ওয়ারিশ সনদ, নাগরিকত্ব সনদসহ সেবাখাতসমূহ থেকে সরকারি ফি এর অতিরিক্ত বহুগুণ ফি আদায়েরও অভিযোগ করেন তারা।
ইউপি সচিব আব্দুল মান্নান অভিযোগসমূহের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, চেয়ারম্যান মহোদয় এসব বিষয়ে অবগত আছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মিরাজ বলেন, নাগরিক সেবা খাতসমূহে যে সকল অনিয়মের অভিযোগ এসেছে তার দায় মূলত সচিব আব্দুল মান্নান এবং উদ্যোক্তার। কাজ সম্পন্ন করার স্বার্থে কাবিখা-কাবিটা প্রকল্পের কিছু টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে ইউনিয়নের উন্নয়ন কাজে ট্যাক্সের টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এর হিসাব আমার কাছে আছে। সিম কার্ডের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
উল্লেখ্য ২২ জানুয়ারী, ২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ব্যালট ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে উপজেলার সর্বকনিষ্ঠ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেন মাহমুদুল হাসান মিরাজ। যা নিয়ে এখনো মামলা চলমান রয়েছে।