সাইফুল ইসলাম সিফাত : হাজীগঞ্জ বাজারে দুই গ্রামের মধ্যে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় দফায় দফায় সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয় সাইমন (১৬) এর মৃত্যুর পর ফরিদগঞ্জ দাফন সম্পন্ন।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের সাইমনের দাদার বাড়ি ফরিদগঞ্জের দিকধাইর গ্রামের সর্দার বাড়িতে সাইমনের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়।
সাইমন গত শুক্রবার রাতে হাজীগঞ্জে দুই গ্রামের সংঘর্ষের সময় গুরুতর আহত হয়ে। আহতাবস্থায় তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে চিকিৎসক ঢাকায় রেফার্ড করেন। এরপর সাইমনের পরিবারের লোকজন রাজধানীর ধানমন্ডি সুপারম্যাক্স হেলথ কেয়ার লিঃ-এ নিয়ে যায়। গতকাল শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাইমনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেন কিশোরের পালক বাবা মো: ইউনুস।
সাইমন হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। সে হাজীগঞ্জ বিলওয়াই কোকা-কোলা ঘাট এলাকায় মা ও পালক বাবার সাথে ভাড়া বাসায় থাকতো।
সাইমনের জানাজার নামাজে ইমামতি করেন, মাওলানা আবু সাইদ মোঃ শরফুদ্দিন।
জানাজার নামাজে উপস্থিত ছিলেন, ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ডাঃ একে আবুল কালাম আজাদ, হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম পাটোয়ারি, উপজেলা বিএনপির সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মো. মোস্তফা কামাল সুমন, উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব কাজী জসিম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক বিল্লাল হোসেন, উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি নজরুল ইসলাম,
ফরিদগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল সর্দার, ফরিদগঞ্জ ৩নং সুবিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি ইয়াছিন মিয়াজি, সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন, ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক ইমরান হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোশারফ হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহবায়ক মনির হোসেন সহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
সংঘর্ষের ঘটনায় হাজীগঞ্জ থানায় তিনশ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে টোরাগড় গ্রামের পারভেজের স্ত্রী তুহিন বেগম একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ১৩, তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মহিউদ্দিন ফারুক জানান, ঘটনার সাথে জড়িত বাকী সন্দেহ ভাজনদের ধরতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযান চলমান রয়েছে।