হাজীগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় চিকিৎসাধীন আহত সাইমনের মৃত্যু

সাইফুল ইসলাম সিফাত : চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ২০ সেপ্টেম্বর রাতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাইমন (১৬) নামে এক কিশোর মৃত্যুবরন করেন।

(শনিবার) রাত ৮:৩০ এ রাজধানীর ধানমন্ডির সুপারম্যাক্স হেলথ কেয়ার লিঃ-এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কথা চাঁদপুর খবরকে নিশ্চিত করেন কিশোরের পিতা মো: ইউনুস।

কিশোর সাইমন হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। তার পিতার বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার মহামায়ার চর-বাকিলা এবং নানার বাড়ি ফরিদগঞ্জের দিকধাইর গ্রামে। তার বাবা পেশায় একজন রাজ মিস্ত্রি। তারা হাজীগঞ্জ বিলওয়াই কোকাকোলা ঘাট এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকে।

দু’গ্রুপের সংঘর্ষে গুরুত্বর আহত সাইমনকে প্রথম হাজীগঞ্জ মুন হসপিটালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয় কুমিল্লায়। অবস্থা অবনতি হলে গতকাল দুপুরে নিয়ে যাওয়া হয় ধানমন্ডির সুপারম্যাক্স হেলান কেয়ারে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতে স্থানীয় দুই গ্রাম মকিমাবাদ-টোরাগড়ের কিশোরদের মধ্যে সংঘর্ষে হাজীগঞ্জ বাজার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়ে অর্ধশত আহত হন।

সংঘর্ষের জেরে বাজারে যান চলাচল ও দোকান-পাট বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে মধ্যরাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপির হাইকমান্ড হাজীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের সংগঠনের সকল কমিটি তাৎক্ষণিক বিলুপ্ত ঘোষনা করেন।

এঘটনায় অজ্ঞাত তিনশ থেকে ৪০০ জনকে আসামী করে টোরাগড় গ্রামের পারভেজের স্ত্রী তুহিন বেগম হাজীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ১৩, তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
মামলার পর পরই পশ্চিম গন্ধব্যপুর জমাদার বাড়ির মীর হোসেনের ছের মোহাম্মদ রিফাত (১৯) ও সেন্দ্রা গাজী বাড়ির শুকর আলীর ছেলে মোহাম্মদ ইমরান হোসেন (২৩) আটক করে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ।

ঘটনার সাথে জড়িত বাকী সন্দেহভাজনদের ধরতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযান চলমান রয়েছে বলে হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিউদ্দিন ফারুক নিশ্চিত করেন।

 

সম্পর্কিত খবর