স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা বংশাল থানার পুলিশের গুলিতে নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করেন চাঁদপুরের কৃতি সন্তান রহমতপুর কলোনির বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম উব্বু।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছাত্রদের পাশে থেকে রাজপথ সংগ্রাম করেছেন চাঁদপুরের সন্তান মনিরুল ইসলাম উব্বু।
৫ ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর রাতে বংশাল থানার সামনে পুলিশের গুলিতে বুক ঝাঁজরা হয়ে যায় উব্বুর। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটে পরা উব্বুকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রচন্ড রক্তক্ষরণের কারণে মনিরুল ইসলাম উব্বুর করুণ মৃত্যু হয়।
সরকার পতনের পর পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় ঢাকা থেকে তাকে চাঁদপুরে না আনতে পারায় জানাজা শেষে ঢাকা আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
অবশেষে চাঁদপুরের নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মহসিন উদ্দিন শহরের রহমতপুর কলোনি এলাকায় নিহতের পরিবারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন ও তাদের খোঁজ খবর নেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন ফল ও উন্নত বলার খাবার উপহারস্বরূপ দেন এবং জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত জামিন সৈকত, চাঁদপুর সদর উপজেলার ভূমি কর্মকর্তা মোঃ ইমরান খান,জেলা প্রশাসনের ত্রান ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা হেদায়েত উল্লাহ ,মরহুমের ছোট ভাই মোহনা টেলিভিশনের চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম বাবু ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিএ মামুনুর রশিদসহ এলাকার গন্যমান্যব্যক্তিবগ ও সুধীজন ।
মনিরুল ইসলাম উব্বুর তার দুই স্ত্রী দুই দুই ছেলে এক মেয়ে নিয়ে বংশাল এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকতেন।
আর্থিক অনটনের কারণে সংসার চালাতে অনেকটা হিমশিম খেতে হয় তাকে। ৩০ বছর পূর্বে চাঁদপুর ছেড়ে ঢাকায় গিয়ে জুতার ফ্যাক্টরিতে কাজ শুরু করেন।
জানা গেছে,সেখানে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ে। অবশেষে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে এই বিএনপি নেতা মনিরুল ইসলামের ভূমিকা ছিল অতুলনীয়। তার এই করুন মৃত্যুতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা শোকাহত। অবশেষে দেশ স্বাধীন করতে গিয়ে শহীদ হওয়া মনিরুল ইসলাম উব্বু পরিবারের খোঁজখবর নিতে আসেনচাঁদপুর জেলা প্রশাসক।
জানা গেছে,পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া মনিরুল ইসলাম উব্বু চাঁদপুরের সুপরিচিত মুখ মোহনা টেলিভিশনের চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম বাবুর বড় ভাই।