ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজে আবারও তালা

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর সদর উপজেলার ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের প্রধান ফটক, অধ্যক্ষের কার্যালয়সহ বিভিন্ন কক্ষে ৯ দিনের মাথায় আবার তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তবে এবার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে নয়, নতুন অধ্যক্ষ ও অ্যাডহক কমিটি পরিবর্তনের দাবিতে তালা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একদল লোক কলেজে ঢুকে প্রথমে আতঙ্ক তৈরি করেন। পরে শিক্ষকদের বিভিন্ন কক্ষ থেকে বের করে কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) একই অবস্থা বিরাজ করে কলেজে। সেখানেও বহিরাগত ও শিক্ষার্থীরা এক হয়ে কলেজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন।

এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে অধ্যক্ষের কার্যালয় ভাঙচুর করে কার্যালয় ও কলেজের ফটকে তালা দেন শিক্ষার্থীরা।

এতে এক সপ্তাহের জন্য কলেজের কার্যক্রম বন্ধ থাকে। পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকেরা একটি সমঝোতায় পৌঁছালে ৮ সেপ্টেম্বর কলেজের কার্যক্রম আবার শুরু হয়।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরকার পরিবর্তনের পর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলীপ চন্দ্র দাসের পদত্যাগ চেয়ে কলেজের প্রধান ফটক ও অধ্যক্ষের কক্ষে তালা দেন সাবেক ও বর্তমান একদল শিক্ষার্থী।

এতে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ও শিক্ষকদের মধ্যে আলোচনার পর কলেজের ফটকের তালা খুলে দেওয়া হয়। তবে তখন অধ্যক্ষের বিষয়ে কোনো সমাধান হয়নি।

ওই ঘটনার এক সপ্তাহ পর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিলীপ চন্দ্র দাস স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর আবেদন করেন।

পরে সেখানকার বিএনপি নেতাদের হস্তক্ষেপে গত রোববার অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পান মো. রেজাউল ইসলাম। কিন্তু জ্যেষ্ঠ শিক্ষকেরা সেটি না মানলে কলেজের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক এ বি এম শাহ আলমকে নতুন করে অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পাশাপাশি চার সদস্যের একটি অ্যাডহক কমিটিও ঘোষণা করা হয়। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে কলেজে ককটেল বিস্ফোরণ করে কলেজ থেকে সবাইকে বের করে দেন।

কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও সদরের ইউএনও সাখাওয়াত জামিল বলেন, কলেজে নতুন করে তালা লাগানোর বিষয়টি তিনি জানেন না। আগের ঘটনায় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

তিনি এখনো প্রতিবেদন পাননি। এরপরও তিনি এ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। কোনো সমস্যাই থাকবে না বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।-সূত্র প্রথম আলো।

সম্পর্কিত খবর