চাঁদপুর সদর উপজেলা ১নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড নুরুল্লাপুর মিজি বাড়ি ওরপে কুট্টি মিজি বাড়ির বয়জোষ্ঠ মোঃ মজিবুর রহমান (৭৫) এর চলা চলের ৩৫ বছরের একমাত্র পুরাতন রাস্তা জোরপূর্বক ভাবে বন্ধ করে দেওয়ায় গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে তার পরিবার।
১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ১১ ঘটিকায় একই বাড়ির মরহুম খলিল মিজির ছেলে বিল্লাল মিজি, মরহুম কাদির মিজির ছেলে জাহাঙ্গীর মিজি, আলমগীর মিজি, রতন মিজি, আবু তাহের মিজি, বিল্লাল মিজির ছেলে আল আমিন, রাসেল, কাদের মিজির নাতি বাবু মিজি, কলমত মিজির ছেলে রিপন মিজি, সেলামত মিজির ছেলে মাকসুদ মিজি জোর পূর্বক ভাবে মোঃ মজিবুর রহমানের মিজির বাড়ির দু’দিকে বাঁশের বেড়া দিয়ে গৃহবন্দী করে রেখেছে। ফলে অসহায়ের মত জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাদের।
বাড়ি থেকে বের হওয়ার ৩৫ বছরের পুরাতন একমাত্র চলাচলের রাস্তাটিতে তিনটি বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে রেখেছে।
ভুক্তভোগী মোঃ মজিবুর রহমান বলেন অভাবের সংসারে অর্থকষ্ট ছাড়িয়ে এখন নতুন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাড়ির চলাচলের পথ। বাড়ির দুই দিক দিয়ে ৪ টি বাঁশের বেড়া দিয়ে তারা জোরপূর্বক ভাবে গৃহবন্দী করে রেখেছে। পুকুর থেকে কাদির মিজির ছেলে জাহাঙ্গীর মিজি, আলমগীর মিজি, রতন মিজি, আবু তাহের মিজি, বিল্লাল মিজির ছেলে আল আমিন, রাসেল, কাদের মিজির নাতি বাবু মিজি, কলমত মিজির ছেলে রিপন মিজি, সেলামত মিজির ছেলে মাকসুদ মিজি তারা সবাই রুই কাতল সহ ৫০ হাজার টাকার মাছ ধরে নিয়ে গেছে, নারকেল ও সুপারি গাছ থেকে সব নারকেল ও সুপারি নিয়ে গেছে।
অথচয় আমি ১৯৯০ সালে ১৮ জুন তাদের পিতা কাদের মিজ থেকে ১৫ শতাংশ জায়গা কিনেছি। বেঁড়া দেওয়ার বিষয় কিছু বলে না। তারা জায়গায় পেলে আমাকে বলত? হঠাৎ করে কেন বেঁড়া দিল। আমাকে মারধোর করতে আসে। সারাক্ষণ হুমকি থামকি দিয়ে যাচ্ছে।আমি ও আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। আমি এর বিচার চাই।
গ্রামের মোঃ ইউসুফ আলী তালুকদার, মোঃ হারুন মিজি, জহির বরকন্দাজ, জুয়েল গাজী সহ আরো অনেকে বলেন আমরা ছোট বেলা থেকে জানি বেড়া দেওয়ার এই জায়গা মজিবুর রহমানের। জায়গা জমিন নিয়ে সমস্যা থাকলে তারা আগে বলত।
হঠাৎ করে তারা কেন বেড়া দিয়ে একটা পরিবার কে গৃহবন্দী করে রাখল। তারা ৩৫ বছর চুপ কেন ছিল? হঠাৎ করে তাদের গায়েবি শক্তি আসলো কোথায় থেকে? আমরা এলাকাবাসী এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা দুর্বলের প্রতি অত্যাচারের সঠিক বিচার চাই।
বিল্লাল মিজি ও জাহাঙ্গীর মিজি তারা বলেন আমাদের সম্পত্তিতে আমরা বেড়া দিয়েছি। এর জন্য কাউকে বলতে হবে বলে প্রয়োজন মনে করি না।