চাঁদপুর খবর রিপোর্ট : চাঁদপুরে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) পালিত হয়েছে। ১৬ সেপ্টেম্বর (১২ রবিউল আউয়াল) সোমবার চাঁদপুরসহ সারাদেশে বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জন্ম ও ওফাত দিবসকে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) হিসেবে পালন করে থাকে।
এবার বাংলাদেশের মুসলিম সম্প্রদায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রাখার ওপর গুরুত্ব দিয়ে এ দিবসটি পালন করে।
এ উপলক্ষে সোমাবর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। ওই দিন বাদ জোহর ও বাদ মাগরিব বিভিন্ন মসজিদে দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরার পাশাপাশি দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
মুনাজাতের আগে দেশে সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়। এছাড়া চাঁদপুর সদরের বিভিন্ন দরবার, ফরিদগঞ্জ, মতলব, কচুয়া উপজেলাসহ নানা জায়গায় মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের অংশগ্রহণে খন্ড-খন্ড মিছিল বের করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে
রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।
পৃথক বাণীতে তাঁরা উভয়েই দেশবাসীসহ বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ’র প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান। এছাড়াও, তাঁরা দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে সকল ধর্মের মানুষের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
মূলতঃ আরবী সনের ১২ রবিউল আওয়াল মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা ঃ)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এই দিনে জন্ম গ্রহণ করেন। একই দিনে তিনি তাঁর রবের কাছে ফিরে যান। আরবী মাসের হিসেব শুরু হয়। সন্ধ্যা রাত থেকে।
এজন্য ১২ রবিউল আওয়াল শুরু হওয়ার পর অর্থাৎ সোমবার সন্ধ্যা রাত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা বিভিন্ন মসজিদ এবং বসতবাড়িতে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে কোরআন খতম ও জিকির-আজগার শেষে বিশেষ মােনাজাতে নিজ-নিজ পরিবারের সদস্য ও মুসলিম উম্মাহর জন্য মহান রাব্বল আলামিনের বিশেষ রহমত কামনা করেন। এ দিনটি ছিলো সরকারি ছুটির দিন